শীতের আভাস পাওয়া মাত্রই শুরু হয় বিয়ে নিয়ে আলোচনা। চলে হাসি ঠাট্টা। যার বিয়ের বয়স হয়েছে সেও যেমন অংশ নেয়, যার হয়নি তাকে নিয়েও চলে হট্টগোল। তবে আসলেই শীতের সঙ্গে বিয়ের একটা মধুর সম্পর্ক রয়েছে। কেন জানেন? কারণ শীতে বিয়ে করার রয়েছে অনেক সুবিধা। আর সুবিধার কারণেই শীতে বিয়ের ধুম পড়ে যায়। তাই আগে চলুন জেনে নেই শীতে বিয়ের সুবিধা কী-
শীতে বিয়ের বড় কারণ হলো- এই সময় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সমস্ত প্রতিষ্ঠানের একটা বার্ষিক ছুটি চলে। তাই আত্মীয়স্বজন যে যেখানে আছেন, সবাই মিলিত হতে পারেন। একটা অনুষ্ঠানকে ঘিরে সবার এরকম মিলিত হওয়ার সুযোগ বছরের অন্য সময়ে পাওয়া যায় না। তাই এসময় বিয়ের একটা মৌসুম শুরু হয়।
বিয়ের আয়োজন মানে অনেক কিছু, অনেক রিচুয়াল। তার জন্য প্রয়োজন অনেক সময়। একদিনে বা দুদিনে সম্ভব হয় না। যেহেতু শীতে ছুটির একটা আমেজ থাকে তাই এসময় বিয়ের মতো একটা বড় আয়োজনের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়।
বিয়ে মানেই সাজগোজ। বর-বউকে সাজতেই হয়। সেই সঙ্গে আত্মীয় স্বজন সবাই সাজে। আর শীতের সময়ে যত খুশি সাজুন, নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। অন্য সময় মেকআপ গলে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই শীতেই বিয়ে করলে সুবিধা।
বিয়েতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক খাওয়া-দাওয়া। গরমকালে খাওয়া-দাওয়া অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকিপূর্ণ। পোলাও, বিরিয়ানি, রোস্ট, রেজালা, মাংসের চপ, বেগুনি এগুলো বিয়ের অনুষ্ঠানে একেবারে কমন আইটেম। তবে এসব খাবার গরমে খেলে পেটে সহ্য হয় না অনেকেরই। খাওয়ায় একটু এদিক-সেদিক হলেই বিদ্রোহ করে পেট। সেদিক থেকে শীতে খাওয়া দাওয়ায় আরাম আছে।
মেহমানদের আপ্যায়ন, ডেকোরেশন, খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা সবই করতে হয় আয়োজকদের। সারাদিনই প্রায় খাটতে হয় সবার। গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু শীতে কাজ করা স্বস্তিদায়ক। শরীর থেকে বেশি ঘাম না ঝরার কারণে ক্লান্তিও কম আসে। তাই শীতে বিয়ের কাজ যে স্বস্তিদায়ক, সেজন্যও শীতে বিয়ে করার সুবিধা আছে।
বিয়ের ডেকোরেশনে ফুলের ব্যবহার অনেক বেশি হয়। আর যেহেতু শীতে হরেক রকমের ফুলের দেখা মেলে ও দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় না, তাই সাজানোতেও সুবিধা।
বিয়ের পরই আসেই হানিমুন। বিয়ের পরই নতুন বর-বউ দূরে কোথাও বেড়াতে যায়। আর ঘুরে বেড়ানোর আদর্শ সময় শীতকাল। মূলত, এসব কারণেই শীতে বিয়ের ধুম পড়ে বেশি।