ডিজিটাল যুগে মানুষ এখন প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তির উপর ভর করে নিজেদের জীবনযাত্রা বদলাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি বাড়ছে। নিজের মধ্যে থাকতেই মানুষ এখন বেশি পছন্দ করে। নিজের মনের কথাগুলোও নিজের মধ্যেই রাখে। এতে বাড়ছে একাকিত্ব। সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বেড়ে যাচ্ছে। মানুষের সঙ্গে কথা বলা কমে যাচ্ছে। তাই ভালো বক্তা পাওয়া এখন খুব কঠিন। আবার ভালো শ্রোতাও খুঁজে পাওয়া দায়। ধৈর্য ধরে কারো কথা শোনার সময়ও এখন নেই। বরং কথা কম বলা এবং কম শোনাতেই আটকে যাচ্ছে প্রজন্ম। এতে সামনের মানুষটা আপনার ফিলিংস বুঝতে পারে না, আবার আপনিও তার মনের কথা অনুভব করতে পারেন না। জটিলতা বাড়ছেই। তাই ভালো শ্রোতা হওয়াও জরুরি। আপনি কেন ভালো শ্রোতা হবেন, এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু যুক্তি দেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভুল বোঝাবুঝি
অন্যের কথা মন দিয়ে শুনলে তার অনুভূতি বোঝা যায়। মনের ভেতরে কী চলছে তা বোঝা যায়। আপনার মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে দ্বিধা থাকলে তাও কেটে যাবে। তাই অন্যের কাছে নিজের কথা বলুন এবং তার কথাও শুনুন।
স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়
সবার চিন্তাভাবনা আলাদা হয়। নিজের কথা বলার পাশাপাশি সামনের মানুষেন কথা শুনুন। এতে বুঝতে পারবেন সে কী ভাবছে, তার চিন্তাভাবনা কী। মনে যদি কোনও বিষয় নিয়ে দ্বন্ধ থাকে, তারও স্পষ্ট ধারণা পাবেন। ভালো শ্রোতা হলে আপনিও যেকোনো সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
যোগাযোগ মজবুত হবে
সম্পর্কের ভিত শক্ত করতে যোগাযোগ রক্ষা করা জরুরি। যোগাযোগ ঠিক রাখার অন্যতম উপায় হলো ভালো শ্রোতা হওয়া। সামনের মানুষটা কী বলছে, তার মনের কথাগুলো শুনুন। আপনাকে কোনো বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তা মন দিয়ে শুনবেন এবং অন্য কথায় কথা কাটবেন না। এটি আপনাদের যোগাযোগ মজবুত করবে।
সম্মান বাড়বে
অন্যের কথা মন দিয়ে শুনলে তার কাছে আপনার সম্মান বাড়বে। কদর বাড়বে। আপনার সঙ্গে কথা বলতে সে আগ্রহী হবে। সম্পর্ক মজবুত হবে। যেকোনো বিষয় শেয়ার করবে। পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেবে। তার জীবনে আপনার গুরুত্ব বাড়বে। তাই ভালো শ্রোতা হওয়া জরুরি।