• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বড়দিনে কেক খাওয়া হয় কেন?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩, ০১:৩২ পিএম
বড়দিনে কেক খাওয়া হয় কেন?
বড়দিনে কেক খাওয়ার ঐতিহ্য পুরোনো। ছবি : সংগৃহীত

বড়দিন মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হরেক রকমের কেকের ছবি। কিন্তু ক্রিসমাসে কেন কেক খাওয়া হয় এটি নিয়েও কৌতুহলের শেষ নেই। তবে এর সঠিক কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় নি। যিশুর জন্মের সময় কিন্তু কেকের প্রচলন ছিল না। তাহলে ঠিক কবে থেকে তা কেক ক্রিসমাসের অনুসঙ্গ হয়ে উঠলো চলুন জেনে নেওয়া যাক। 

ধারণা করা হয়, শুরুতে হয়তো ক্রিসমাসে কেক খাওয়ার প্রচলন যেহেতু ছিল না তাই সম্ভবত কেকের বদলে আগে প্লাম পরিজ খাওয়ার প্রচলন ছিল। মূলত উপবাস ভাঙার জন্য খাওয়া হতো প্লাম পরিজ। দীর্ঘদিন ধরে প্লাম পরিজের রেসিপিতে বেশ খানিকটা বদল আসে। 

এই বদলে যাওয়া রেসিপিতে যোগ হয় মধু, শুকনো ফল ও মসলা। এসব নতুন উপাদানের জন্য প্লাম পরিজ ধীরে ধীরে পুডিংয়ের আকার ধারণ করে। ১৬ শতক পর্যন্ত সেই ঐতিহ্য চলতে থাকে। তবে ছোট ছোট কিছু তথ্য আর কিছু মিথ থেকে এটা বোঝা যায় যে ইংরেজ ঐতিহ্যে লুকিয়ে আছে এই ক্রিসমাস কেকের মূল। 

শুরুতে হয়তো ক্রিসমাসে কেক খাওয়ার প্রচলন ছিল না। কোনও কোনও তথ্য জানাচ্ছে, সম্ভবত কেকের বদলে আগে প্লাম পরিজ খাওয়ার প্রচলন ছিল। মূলত উপবাস ভাঙার জন্য খাওয়া হতো প্লাম পরিজ। দীর্ঘদিন ধরে প্লাম পরিজের রেসিপিতে বেশ খানিকটা বদল আসে। এই বদলে যাওয়া রেসিপিতে যোগ হয় মধু, শুকনো ফল ও মসলা। 

এসব নতুন উপাদানের জন্য প্লাম পরিজ ধীরে ধীরে পুডিংয়ের আকার ধারণ করে। ১৬ শতক পর্যন্ত সেই ঐতিহ্য চলতে থাকে। এরপর পর্দায় গমের আটার বদলে হাজির হয় ওটস। এর সঙ্গে যোগ হয় ডিম ও মাখন। ফলে আগেই বদলে যাওয়া প্লাম পুডিং এবার হয়ে গেল প্লাম কেক। ক্রিসমাসে এ ধরনের কেক খাওয়ারই চল ছিল আগে। 

শোনা যায়, প্রাচীন নোরস শব্দ কাকা থেকেই এসেছে কেক শব্দটি। আবার সুইডিশ ভাষায় এর অর্থ মিষ্টি। কেক তৈরির প্রথম নিদর্শন পাওয়া গেছে প্রাচীন গ্রীস সভ্যতায়। আবার শোনা যায় রোমানরা নাকি নানারকমের শুকনো ফল মিশিয়ে প্রথম ফ্রুটকেক তৈরি করে। 

কেক নিয়ে ইউরোপীয়রা যতই মাতামাতি করুক না কেন, কেক বেক করার পদ্ধতি প্রথম আবিষ্কৃত হয় এশিয়া মহাদেশেই। জানা যায়, প্রাচীন মিশরেই প্রথম কেক বেকিং-এর সন্ধান পাওয়া যায় একেবারে প্রথম দিকে চিনির গুঁড়া, ডিমের সাদা অংশ ও সুগন্ধী দিয়ে তৈরি হত কেক সাজানোর আইসিং। আর বেকিং করার আগে মেশানো হত শুকনা ফল ও লেবু। 

কেকের বদল আসে উনিশ শতকে। জানা যায়, ১৮৯২-এ আবিষ্কার হয় ইলেক্ট্রনিক ওভেনে। আর ওই সময় থেকেই ধবধবে সাদা ময়দা ও বেকিং পাউডারের ব্যবহার হয়। চিনি আর চকলেটের দাম অনেকটাই বেশি ছিল তখন। তাই দামি খাবার বা ধনীদের খাবার বলে মনে করা হত।

অবাক করা বিষয় হলো, বড়লোকদের বাড়ির ক্রিসমাস কেকে যোগ করা হতো ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া বিভিন্ন স্বাদের মসলা। ক্রিসমাস কেকে সেই ঐতিহ্য এখনো চলছে। 

Link copied!