স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে সর্বত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন অডিও- ভিডিওতে আটকে যাচ্ছে আমাদের মনোযোগ। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় হচ্ছে বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখে। যা দিয়ে আয়ও হচ্ছে কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের। বর্তমান সময়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই মনোযোগ ধরে রাখার নামই হচ্ছে `অ্যাটেনশন ইকোনমি`।
অ্যাটেনশন ইকোনমির মাধ্যমে মানুষের আগ্রহের বিষয়গুলোর নানা তথ্য উপাত্ত অডিও- ভিডিও আকারে উপস্থাপন করা হয়। স্মার্টফোনে যা কিছু দেখা হয়, তা এমনভাবে সাজানো থাকে যেন মনোযোগ ধরে রাখতে পারে। আপনি যা কিছু দেখছেন, লাইক বা মন্তব্য করছেন, সেই অনুযায়ী কন্টেন্ট আপনার সামনে বার বার আসবে। যা সর্বোচ্চ দেখার মাধ্যমে আয় করেন ক্রিয়েটাররা। এছাড়াও যত প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনছেন, এর মাধ্যমেও কেউ না কেউ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। শুধুমাত্র আপনার মূল্যবান সম্পদ সময়, মনোযোগকে ধরে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে অ্যাটেনশন ইকোনমি।
অ্যাটেনশন ইকোনমি থেকে প্রতিদিনই আয় হচ্ছে বিলিয়ন ডলার। কোটি কোটি মানুষের সময় আর মনোযোগের বিনিময়ে অনলাইনে চলছে বিলিয়ন ডলারের এই ব্যবসা। কন্টেন্ট ক্রিয়েটাররা আপনার মনোযোগ আকর্ষণের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে ব্যস্ত। প্রতিদিন যে স্ট্রিমিং সার্ভিস, রিলস, ভিডিও, অডিও বা বিজ্ঞাপন দেখেন বা শোনেন এর সবই আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্যই ডিজাইন করা হয়। সবচেয়ে কম সময়ে আপনি যেন সবচেয়ে বেশি তথ্য ও সেবা ভোগ করতে পারেন, তারই প্রতিযোগিতা চলছে অনলাইন দুনিয়ায়।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অনলাইন সাইটের অ্যালগরিদম আপনার মনোযোগ ধরে রাখতে বিভিন্নভাবে কাজ করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পারসোনালাইজড কনটেন্ট তৈরি করছে। যার মাধ্যমে মানুষ সহজেই ‘সাইকোলজিক্যাল ম্যানিপুলেশন’হচ্ছে। মানুষ নিজের মূল্যবান সময়, মনোযোগ ব্যয় করে নিজের অজান্তেই অন্যের পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার কারণে হয়তো অনেকেরই পারিবারিক, সামাজিক, পেশাগত জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যা থেকে বেরিয়ে আসা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ।
সূত্র: মিডিয়াম