কোরিয়ান গান শুনে যেমন মুগ্ধ হয় পুরো বিশ্ব। তেমনই কোরিয়ানদের রূপ-সৌন্দর্য্যও মুগ্ধতা ছড়ায়। বলা যায়, কোরিয়ান বিউটি স্ট্যান্ডার্ড, গ্ল্যামারাস স্কিনের রহস্য এবং সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা হয় গোটা বিশ্বেই। সেই দেশের নারীরা যেমন রূপবতী, পুরুষদের রূপেরও তুলনা হয় না। দাড়ি পুরুষত্ব বহন করে-এই কথার তোয়াক্কা করেন না কোরিয়ান ছেলেরা। উল্টো সেই দেশের অভিনেতা থেকে গায়ক, কারো গালেই থাকে না দাড়ি। তবুও কে-পপ তারকারা বিশ্বের অসংখ্য নারীর মন কেড়ে নেন। কোরিয়ান ছেলেদের স্টাইলিশ আউটফিট এবং দাড়িহীন গ্ল্যামারাস লুক বদলে দিয়েছে পুরুষত্বের সংজ্ঞাও।
কোরিয়ায় ‘সৌন্দর্য’-এর সংজ্ঞাটা ভিন্ন। তারা ফেসিয়াল বা কসমেটিক সার্জারি করানোর পক্ষে নন। ছোট কপাল, ছোট নাক আর পাতলা ঠোঁট থাকলেই সে সুন্দর হয়। ত্বকের রং নিয়েও তারা বেশ ভাবে। উজ্জ্বল ত্বকের কদরই বেশি সেখানে। ত্বকের সেই উজ্জ্বলতা দাড়ির আড়ালে ঢাকতে নারাজ কোরিয়ানরা। তাই দাড়ির মতো প্রাকৃতিক বিষয়কেও তারা গ্রহণ করে না। বরং মুখে দাড়ি থাকলেই ‘অসুন্দর’ মনে করা হয়। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার অধিকাংশ পুরুষই দাড়ি রাখেন না।
কোরিয়ান পুরুষরা নিয়মিত ক্লিন শেভিং করেন। লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভও করে নেন অনেকে। সেখানে নারীদের তুলনায় পুরুষরাই বেশি ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভে লেজার ট্রিটমেন্ট নেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরাও দাড়িহীন পুরুষকেই বেশি পছন্দ করে। পুরুষদের ক্লিন শেভ করা কোমল ত্বকই কোরিয়ান নারীদের বেশি পছন্দ। সমীক্ষায় দেখা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ৫৬ শতাংশ পুরুষই প্রতিদিন অন্তত একবার দাড়ি কামিয়ে নেন। প্রতিদিনই তারা ক্লিন শেভ লুকে থাকেন। অন্যদিকে মাত্র ৩০ শতাংশের থেকেও কম সংখ্যক পুরুষ মুখে দাড়ি রাখেন।