মশা কামড়ালে চুলকাবেই। কিন্তু কেন চুলকায় আমাদের অনেকেরই জানা নেই এই তথ্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক মশা কামড়ালে চুলকায় কেন ও করণীয় কী-
চুলকানির কারণ
মশা তাঁর সূচালো মুখ বিধিঁয়ে রক্ত শুষে নেওয়ার সময় কিছুটা লালা আপনার শরীরে চলে আসে। মশার লালায় থাকে অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট এবং প্রোটিন। প্রোটিন হলো বাইরের একটি উপাদান, এটি যখন শরীরে প্রবেশ করে তখন শরীর সংকেত দেয় এই প্রোটিনকে মারার জন্য। তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা এটিকে মারার জন্য হিস্টামিন ছেড়ে দেয়। হিস্টামিন ঠিক সেখানেই যায়, যে জায়গায় মশা কামড় দিয়েছিল। আর এই হিস্টামিন উপাদানই চুলকানো এবং ফুলে যাওয়ার কারণ। অনেকের ক্ষেত্রে মশার কামড়ে প্রতিক্রিয়া কম হয়। কারণ হলো, তাদের শরীর বাইরের উপাদানের প্রতি কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। কিছু মানুষ বুঝতেও পারে না তাকে মশা কামড় দিয়েছে।
চুলকালে কী করবেন
রাবিং অ্যালকোহল
মশা কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই যদি একটু রাবিং অ্যালকোহল দিয়ে জায়গাটা মুছে নেন তাহলে আর চুলকাবে না। তবে বেশি পরিমাণে লাগানো যাবে না।
মধু
মধুতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ক্ষত নিরাময়ে বেশ কার্যকর। জ্বালাপোড়া বা চুলকানির ভাব কমাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। তবে মধু লাগিয়ে বাইরে যাবেন না। মধুতে থাকা চিনি মশাকে আকৃষ্ট করে।
ঠান্ডা টি-ব্যাগ
গ্রীন বা লাল চা ফোলা বা চুলকানির বিরুদ্ধে কাজ করে। টি ব্যাগ নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে ফ্রিজে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন। এরপর যেখানে মশা কামড়িয়েছে সেখানে লাগান। চুলকানি ভাব কমে যাবে।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতায় কিছু ক্যামিকেল আছে যেটি চুলকানি কমায়। দুই কাপ পানিতে হাফ কাপ শুকনা তুলসী পাতা ফুটিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিন। যেখানে মশার কামড় খেয়েছেন সেখানে লাগাতে পারেন। অথবা সরাসরি তুলসী পাতা গাছ থেকে নিয়ে ঘষে নিন।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার ঠান্ডা ভাব চুলকানি কমিয়ে দেয়। সরাসরি গাছ থেকে নিয়ে লাগাতে পারেন।
রসুন কুঁচি
ক্ষত নিরাময় এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যের কারণে কিছু ক্রিমে রসুনের নির্যাস ব্যবহার করা হয়। তবে সরাসরি আপনার ত্বকে রসুন ঘষবেন না। কাঁচা রসুন ত্বকের জ্বালা এবং প্রদাহ বাড়াতে পারে। নারকেল তেলের সঙ্গে রসুন কুচি মিশিয়ে নিন। পাতলা করে কয়েক মিনিটের জন্য আক্রান্ত স্থানে লাগান।