চাঁদ যেমন পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে। অন্যদিকে পৃথিবীও সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়ায়। একটা সময় চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে। সূর্যের আলো পৃথিবীর কারণে চাঁদে পৌঁছায় না। আর চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো থাকে না। পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না। তখনই শুরু হয় চন্দ্রগ্রহণ।
চন্দ্রগ্রহণ হলে কিছু সময়ের জন্য চাঁদকে অদৃশ্য মনে হয়। কারণ ওই সময় চাঁদ সূর্যের আলোয় নিজেকে আলোকিত করতে পারে না। এই প্রক্রিয়াটি হলো চন্দ্রগ্রহণ। ৩ ধরনের চন্দ্রগ্রহণ হয়। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, আংশিক চন্দ্রগ্রহণ এবং পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ।
পৃথিবী সূর্যকে আংশিক ঢেকে ফেললে চাঁদের কিছু অংশ অদৃশ্য হয়ে যায় আর তখন তাকে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। পৃথিবী সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে নিলে বিপরীত স্থানে অবস্থান করা চাঁদকে পুরোপুরি দেখা যায় না। তখন হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। আর চাঁদ যখন পৃথিবীর ছায়ার দূরবর্তী স্থান দিয়ে অতিক্রম করে, তখন তা হয় পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ।
চাঁদের তুলনায় পৃথিবীর ব্যাস অনেক বেশি থাকে। পৃথিবীর ওই ব্যাসের পথ অতিক্রম করতে ছোট চাঁদের অনেকটা সময় লাগে। তাই চন্দ্রগ্রহণের স্থায়িত্ব ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত দীর্ঘ হয়ে থাকে।
২০২৫ সালে ১৪ মার্চ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। বিজ্ঞানীরা জানান, এই চন্দ্রগ্রহণে চাঁদটি একটি আকর্ষণীয় লালচে রঙ ধারণ করবে। যা ‘ব্লাড মুন’ নামে পরিচিত।
এটি বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে শুরু হবে এবং বিকেল ৩টা ৫৯ মিনিটে শেষ হবে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, আফ্রিকার কিছু অংশ, এশিয়ার কিছু অংশ এবং দক্ষিণ ও উত্তর মেরুতে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।