ছোট-বড় সবাই কোমল পানীয় পান করতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে ভারী খাবারের পর কোমল পানীয়তে চুমুক না দিলে যেন তৃপ্তি মেটে না। তাই যেকোনো অনুষ্ঠানে খাবারের সঙ্গে ছোট কিংবা বড় বোতলে কোমল পানীয় রাখা হয়। আপনিও নিশ্চয়ই কোমল পানীয়ের ভক্ত। কোমল পানীয় খাওয়ার সময় খেয়াল করেছেন, এর নীচের অংশটি কিন্তু সমতল হয় না। অর্থাত্ প্লাস্টিকের বোতলের কোমল পানীয়ের নীচের অংশটি খাঁজকাটা হয়। এর কারণ কী জানেন?
জানা যায়, ১৭ শতকে কোমল পানীয়ের ব্যবহার শুরু হয়। শরীরকে শীতল রাখাই কোমল পানীয় পানের মূল উদ্দেশ্য। ফরাসি সংস্থা ‘কোম্পানি ডি লিমোনাডিয়ার্স’-এর লেবুর রস, পানি এবং মধু দিয়ে লেমনেড তৈরি করে বাজারজাত শুরু করে। এরপর ইউরোপের অন্য দেশে কোমল পানীয়তে কার্বনেটেড পানি ব্যবহার করার চল শুরু হয়। ১৭৮০ সালে জেনেভায় জোহান জ্যাকব স্কিউইপ প্রথম কোমল পানীয়তে কার্বনেট ব্যবহার শুরু করে।
এরপর কোমল পানীয়ের স্বাদ ও প্যাকেটজাতকরণ আধুনিক হতে থাকে। কোমল পানীয় বা কোল্ড ড্রিঙ্কের বোতলের অনন্য আকৃতি এবং নকশা নিয়ে কাজ শুরু হয়। কারণ এসব বিষয়কে আকর্ষণীয় করে বিজ্ঞাপন এবং ব্র্যান্ডিংয়ে কাজে লাগানো হয়। সেই সুবাদে কোমল পানীয়ের পিছনের অংশ খাঁজকাটা করা হয়। মূলত বিজ্ঞাপন ও প্রচারের চিন্তাভাবনা থেকেই কোমল পানীয়ের বোতলের ডিজাইন করা হয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতে আরও নতুনত্ব যোগ হয়।
প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্য মতে, কোমল পানীয়ের বোতলের বিশেষ ধরনের নকশাকে ‘করুগেশন’ বলা হয়। বোতলে থাকা গ্যাসের কারণেই এর ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। মূলত ঠাণ্ডা পানীয়ের ওপর চাপ দিয়ে গ্যাস ঢোকানো হয়। সমতল হলে বোতলগুলো ওপর আরও চাপ পড়ে। এতে বোতল ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বোতল খাঁজকাটা থাকার কারণে অতিরিক্ত চাপে বোতলটির আয়তনের পরিবর্তন হয়। এতে সামঞ্জস্য ঠিক থাকে। তাই বোতলের নীচের অংশ উপরি ভাগের তুলনায় শক্ত হয় এবং খাঁজকাটা করা হয়।