• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৭ মার্চ, ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩০, ৫ রমজান ১৪৪৫

কেন গজ কাপড় দিয়ে ঈদ পোশাক বানাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
কেন গজ কাপড় দিয়ে ঈদ পোশাক বানাবেন
সূত্র: সংগৃহীত

ঈদ মানেই নতুন পোশাক। আনন্দ, উৎসব এবং সাজসজ্জার বিশেষ সময়। ঈদ উপলক্ষে অনেকেই বাজার থেকে তৈরি পোশাক কিনেন। আবার অনেকে তৈরি পোশাকের পরিবর্তে নিজের পছন্দমতো গজ কাপড় কিনে জামা বানাতে পছন্দ করেন। গজ কাপড় দিয়ে জামা তৈরি করলে নিজের মনের মতো ডিজাইন করা যায়, সঠিক মাপ ও আরামদায়ক ফিট পাওয়া যায়।

কেন গজ কাপড় দিয়ে পোশাক বানাবেন

ঈদে গজ কাপড় দিয়ে জামা বানানো শুধু ফ্যাশনের বিষয় নয়, বরং এটি ব্যক্তিগত রুচি ও আরামদায়ক পোশাকের নিশ্চয়তা দেয়। তবে সঠিক কাপড় নির্বাচন, ভালো দর্জি বাছাই এবং উপযুক্ত ডিজাইন ঠিক করে নিলে ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হবে। কারণ গজ কাপড় দিয়ে নিজের পছন্দমতো ডিজাইন করা যায়। সঠিক মাপ ও আরামদায়ক ফিট পাওয়া যায়। গুণগত মান নিশ্চিত করা যায়। দাম তুলনামূলক কম পড়ে। যেসব ডিজাইন ব্র্যান্ডেড পোশাকে অনেক মূল্য দিয়ে কিনতে হয়, গজ কাপড় দিয়ে জামা বানালে এর মূল্য অর্ধেকে নেমে আসবে। তাই বাজেটের মধ্যে সুন্দর ও আকর্ষণী পোশাক বানাতে গজ কাপড় কিনে নিন।

সঠিক কাপড় নির্বাচন থেকে শুরু করে সুন্দরভাবে পোশাক বানানো পর্যন্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। আসুন জেনে নেই গজ কাপড় দিয়ে ঈদ পোশাক বানানোর সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

কাপড়ের মান যাচাই করুন

গজ কাপড় কেনার সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। ভুল কাপড় বা কম মানের কাপড় কিনলে পোশাক ঠিকমতো তৈরি নাও হতে পারে। সুতি, সিল্ক, লিনেন, জর্জেট, শিফন, ভিসকোস, রেয়ন, বা কটনের মতো বিভিন্ন ধরনের কাপড় বাজারে পাওয়া যায়। গরমের মধ্যে ঈদ উদযাপনে হালকা ও আরামদায়ক কাপড় বেছে নিন।

কত গজ কাপড় লাগবে তা বুঝে কিনুন

পোশাকের ধরন অনুযায়ী কাপড়ের মাপ নিতে হয়। সালোয়ার-কামিজ বানাতে ৩.৫-৪ গজ কাপড় লাগে, শাড়ির ব্লাউজ বানাতে ১-১.৫ গজ কাপড় লাগে, পাঞ্জাবি বা কুর্তা বানাতে ২.৫-৩ গজ কাপড় প্রয়োজন হয়, শার্ট বা কুর্তি বানাতে ২-২.৫ গজ কাপড় লাগে আর লং গাউন বা ড্রেস বানাতে ৪-৫ গজ কাপড় লাগে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী কাপড় কিনুন।

কাপড়ের নকশা ও রঙ নির্বাচন করুন

ঈদ মানেই রঙিন পোশাকের উৎসব। গজ কাপড় কেনার সময় এমন রঙ ও ডিজাইন বেছে নিন যা আপনার গায়ের রঙ, উচ্চতা এবং ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়। উজ্জ্বল রঙ যেমন লাল, গোলাপি, নীল, সবুজ উৎসবের জন্য ভালো পছন্দ হতে পারে। আবার প্যাস্টেল শেড বা সফট রঙের কাপড়ও এখন জনপ্রিয়।

কাপড় ধুয়ে নিন

অনেক কাপড় প্রথমবার ধোয়ার পর সংকুচিত (শ্রিংক) হয়ে যায়। বিশেষ করে সুতি বা লিনেন কাপড় হলে প্রথমেই ধুয়ে শুকিয়ে তারপর কাটিং করলে মাপ সঠিক থাকবে।

পোশাকের ডিজাইন নির্বাচন করুন

গজ কাপড় দিয়ে জামা বানানোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, নিজের পছন্দমতো ডিজাইন বেছে নেওয়া যায়। জনপ্রিয় ডিজাইন বেছে নিয়ে পোশাক বানাতে পারেন। আনারকলি/ফ্লেয়ার্ড গাউন দীর্ঘ ও ঝুলযুক্ত পোশাক, যা ঈদের জন্য খুব আকর্ষণীয়। সিম্পল স্ট্রেইট কাট কামিজ আরামদায়ক হয়। লং কুর্তি পালাজো বা লেগিংসের সঙ্গে পরার জন্য দারুণ মানানসই হবে। সিল্ক বা জর্জেটের শাড়ির ব্লাউজে হালকা এমব্রয়ডারি বা জরি কাজ করলে আরও আকর্ষণীয় হবে।

পুরুষরা সিম্পল পাঞ্জাবি বানাতে পারেন। সুতির বা লিনেনের পাঞ্জাবি গরমের জন্য আরামদায়ক হবে। স্টাইলিশ কাটা পাঞ্জাবি হালকা এমব্রয়ডারি বা ফিটেড ডিজাইনের হয়। যা ঈদে ট্রেন্ডি লুক দেবে। আবার যারা ক্যাজুয়াল লুক পছন্দ করেন তারা শার্ট বা কুর্তা বানাতে পারেন।

দর্জি নির্বাচন ও মাপ নেওয়া

গজ কাপড় দিয়ে সুন্দর পোশাক বানাতে ভালো দর্জির প্রয়োজন হয়। দর্জি নির্বাচন করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার। দর্জির পূর্বের কাজ কেমন, তা দেখুন। সময়মতো পোশাক ডেলিভারি দিতে পারবে কিনা যাচাই করুন। পরিষ্কারভাবে মাপ নেওয়া হয়েছে কিনা নিশ্চিত করুন। পোশাকের জন্য সঠিক মাপ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি, কারণ মাপ সঠিক না হলে পুরো পোশাক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কাস্টমাইজড পোশাক

পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ওড়না, স্কার্ফ নিন। এটি সম্পূর্ণ লুককে আরও সুন্দর করে তুলবে। গজ কাপড়ের বাড়তি টুকরা রাখুন। পোশাক তৈরির পর ছোট টুকরো কাপড় রেখে দিলে প্রয়োজনে কাজ লাগতে পারে। ফিনিশিং ভালো রাখার জন্য লাইনার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে পাতলা কাপড় হলে ভিতরে আরেকটি স্তর ব্যবহার করলে পোশাক ভালো থাকবে।

Link copied!