শিশুদের সারাদিন চঞ্চলতা, দুষ্টুমি পড়তে গেলেই যেন বেড়ে যায়। পড়তে বসলে এদিক-ওদিকে তাকিয়ে থাকে, দুষ্টুমি করে, বিভিন্ন বায়না ধরে। পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে চায় না। অনেক চেষ্টার পরও যখন শিশুর পড়ায় আগ্রহ আনতে পারেন না তখন বিরক্ত হয়ে শিশুকে বকলেন বা মারধোর করলেন। এতেই কি সমাধান হয়ে গেল। না, শিশুকে মারধোর করলে ভালোর চেয়ে খারাপ হতে পারে বেশি। তাই শিশু যাতে পড়াশোনায় মনোযোগ পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার বাড়তি চাপ, অভিভাবকদের প্রত্যাশা, মেজাজ হারিয়ে বকুনি দেওয়ার কারণে শিশু পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই শিশুর ভুলের কড়া সমালোচনা না করে, কথার কৌশলেই তাকে পড়ায় উৎসাহিত করে তোলা যেতে পারে।
- শিশুর কাছ থেকে যে কোনও গ্যাজেট দূরে রাখতে হবে। গ্যাজেট শিশুর মনোযোগ নষ্ট করে দিতে পারে।
- প্রত্যেকেরই সারাদিনের একটা রুটিন থাকা প্রয়োজন। শিশুর ক্ষেত্রেও একটি রুটিন করে দেওয়া দরকার। সারা দিন সে কি কি করবে কখন পড়বে তার একটি রুটিন করে দেওয়া ভালো।
- টিভি, মোবাইলে কার্টুন, রিলস, গেম্স চলমান জিনিস। সে সব দেখে পড়তে বসলে, বইয়ের স্থির ছবিতে কিছুতেই মনোসংযোগ করা সম্ভব হবে না। তার চেয়ে বরং শিশু ছোটাছুটি করে খেললে দৈহিক অস্থিরতা কমবে। তার পর পড়তে বসলে মন দেওয়া সহজ হবে।
- সে যখন আরও ছোট তখন থেকেই তাকে বইয়ের সঙ্গে পরিচয করিয়ে দিন। মজার মজার গল্পের বইয়ের সঙ্গে পরিচয় হলে শিশু পড়ার আগ্রহ পাবে।
- শিশুর সামনে তার পাঠ্য বিষয়বস্ত এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে সে আগ্রহী হয়। শিশুর ছোট ছোট সাফল্যকে উৎসাহ দিতে হবে। সমালোচনার চেয়ে প্রশংসা এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর।