বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ বিভ্রাট একটি বড় সমস্যা। গরমের সময় বিদ্যুৎ না থাকলে যেন চরম দুর্ভোগ শুরু হয়। শুধু গরমই নয়, দৈনন্দিন কাজ, পড়াশোনা, অফিসের কাজ এমনকি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবহারেও সমস্যা হয়। তবে কিছু প্রস্তুতি ও সচেতনতা অবলম্বন করে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি অনেকটাই কমানো সম্ভব। চলুন জেনে নিই, অতিরিক্ত লোডশেডিং হলে কী করবেন_
বিকল্প আলোর ব্যবস্থা রাখুন
লোডশেডিংয়ের সময় সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো আলো। তাই ঘরে বিকল্প আলোর ব্যবস্থা রাখা জরুরি। রিচার্জেবল লাইট বা টর্চ কিনে রাখুন।
সোলার লাইট এখন অনেক সহজলভ্য। এগুলো চার্জ দিতে আলাদা বিদ্যুৎ লাগে না। মোমবাতি বালকেরোসিনের বাতিও প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আগুনের ঝুঁকি এড়াতে।
পাওয়ার ব্যাংক বা ইনভার্টার ব্যবহার করুন
লোডশেডিং হলে মোবাইল, ল্যাপটপ বা ইন্টারনেট রাউটারের চার্জ দেওয়া ঝামেলা হয়ে যায়। এজন্য আগে থেকেই পাওয়ার ব্যাংক চার্জ করে রাখা উচিত। যদি সামর্থ্য থাকে, তাহলে ছোটখাটো ইনভার্টার বা ইউপিএস (UPS) ব্যবহার করতে পারেন। এগুলোর মাধ্যমে অন্তত ফ্যান, লাইট ও মোবাইল চার্জার চালু রাখা সম্ভব হবে।
ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল শিখুন
গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে ঘরের ভেতর প্রচণ্ড অস্বস্তি হয়। এ সময় কিছু সহজ কৌশল কাজে লাগাতে পারেন। জানালাগুলো খোলা রাখুন, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে। পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন। শরীরে পানি ছিটিয়ে হালকা ভেজা অবস্থায় থাকলে তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হয়।
খাবার সংরক্ষণে সতর্ক থাকুন
বিদ্যুৎ না থাকলে ফ্রিজের খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফ্রিজ বা ফ্রিজারের দরজা বারবার খুলবেন না। এতে ঠান্ডা দ্রুত বেরিয়ে যায়। বেশি সময় বিদ্যুৎ না থাকলে ফ্রিজের খাবার দ্রুত ব্যবহার করে ফেলুন। প্রয়োজন হলে বরফ সংগ্রহ করে রাখুন এবং খাবার ঠান্ডা রাখতে বরফের বাক্স ব্যবহার করুন।
পরিকল্পনা করে কাজ করুন
যদি আপনি জানতে পারেন কোন সময়ে লোডশেডিং হবে (অনেক এলাকায় পূর্বঘোষিত সময় দেওয়া হয়), তাহলে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন।গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন চার্জ দেওয়া, রান্নাবান্না, জরুরি ফাইল প্রিন্ট করা ইত্যাদি বিদ্যুৎ থাকার সময়ই সেরে ফেলুন। সন্ধ্যার পর পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা বই আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখুন।
সোলার প্যানেল বা জেনারেটর
লোডশেডিংয়ের সমস্যা যদি প্রকট হয়, তবে সোলার সিস্টেম বা ছোট জেনারেটর স্থাপনের কথা চিন্তা করা যেতে পারে। এতে বিদ্যুতের বিকল্প একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা তৈরি হবে।