বাড়িতে সবসময় নানান যন্ত্রে ভরপুর থাকে। এসব চালাতে গিয়ে অসাবধানতায় ইলেকট্রিক শক খাওয়ার ঘটনাও বেড়ে চলছে। হঠাৎ এ ঘটনার ঘটার কারণে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। তাই ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র ব্যবহারের আগে সাবধান হতে হবে। তবে যদি হটাৎ ইলেকট্রিক শক খান কী করবেন? জেনে নিন-
- ইলেকট্রিক শক খেলে বা কাউকে শক খেতে দেখলে আতঙ্কিত হবেন না। বরং সাহস রাখুন। কারেন্টে শক খাওয়া ব্যক্তির গায়ে হাত দিবেন না ভুলেও। এতে আপনিও একই সঙ্গে বৈদ্যুতিকস্পৃষ্ট হবেন।
- বিদ্যুতের উৎস বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ বাসা বা কারখানার বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে।
- কাঠের বা প্লাস্টিকের লাঠি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে আক্রান্তকে বিদ্যুতের উৎস থেকে আলাদা করতে হবে। কোনও ধাতব লাঠি ব্যবহার করা যাবে না।
- নিরাপদ স্থানে নেওয়ার পর আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস ও পালস পরীক্ষা করতে হবে। যদি না থাকে, দ্রুত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়ার ব্যবস্থা করুন। সাধারণত বলা হয় যে ৩ মিনিটের ভেতর কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা গেলে ১০ জনের ভেতর ৭ জনকে বাঁচানো সম্ভব। দেরি করলে বাঁচানোর সম্ভাবনা কমে আসে। এমন জরুরি মুহূর্তে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার ওপর আক্রান্ত ব্যক্তির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নির্ভর করে। একই সঙ্গে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থাও করুন।
- শক খাওয়া ব্যক্তির হৃৎপিণ্ড যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে তার বুকের ওপর জোরে জোরে চাপ দিয়ে হৃৎপিণ্ড চালুর চেষ্টা করুন। এসময় রোগীর মুখ দিয়ে বাতাস প্রবেশ করিয়ে শ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করুন।
- যদি ত্বক সামান্য পোড়া হয়, তাহলে আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় জড়িয়ে দিতে হবে। বরফ দেওয়া যাবে না।
- আক্রান্ত মানুষটি যদি কিছু খেতে পারেন, তা হলে তাকে গরম দুধ বা চা দিন।
- কারেন্টের শক খাওয়ার পর অনেকেরই গা, হাত-পা ঝিমঝিম করে। এই পরিস্থিতিতে প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন। তবে বিশ্রাম নেওয়ার পরও শারীরিক অস্বস্তি না গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- সামান্য পুড়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শমতো ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট লাগাতে হবে।
- মারাত্মক পোড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিবায়োটিক বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।