মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের একটি হচ্ছে রাগ। হাসি- কান্না- খুশি যেমন সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। রাগও তেমনই। তবে রাগ এমন একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যা আপনাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে। জীবনের অনেক সঠিক ভুল সিদ্ধান্তের পেছনেও কারণ হতে পারে রাগ। কারো কথায় বা আচরণ না পছন্দ না হলেই রাগের বহিপ্রকাশ হতে পারে। এই বহিপ্রকাশ যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেই বুদ্ধিমান বলে জানান মনোবিশেষজ্ঞরা। আর যে রাগের বহিপ্রকাশে কোনো নিয়ন্ত্রণ পারে না সে অনেক সময় ভুল দিকে প্রভাবিত হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রাগ নিয়ন্ত্রণে নিজেকেই চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও আরও কিছু পরামর্শ মানতে হবে।
- যে পরিস্থিতিতে রেগে গেছেন সেখান থেকে বেরিয়ে আসুন। কারও উপর রাগ হলে তার সামনে থেকে সরে যেতে পারেন। কোনো কথা বাড়াবেন না। কারণ রাগের বশে ভুল কথাও বলে দিতে পারেন বা ভুল কোনো কাজও করে দিতে পারেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব ওই স্থান ত্যাগ করুন।
- রাগের সময় ধৈর্য্য ধরে রাখা কষ্টকর। তাই নিজের ঠোঁটটি বন্ধ রাখুন। সবার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করুন। চুপ হয়ে যান। বিখ্যাত ব্রাজিলীয় ঔপন্যাসিক এবং গীতিকার পাওলো কোয়েলহো বলেছেন, ‘রাগের সর্বোত্তম উত্তর হলো নীরবতা।’
- যে বিষয়ে রাগ হয়েছে তা থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে চোখ আর কান বন্ধ রাখুন। কিছু দেখবেন না, শুনবেন না। রাগও হবে না। পরিস্থিতি যত এড়িয়ে যাবেন, নিজেকে ততই সামলে নিতে সহজ হবে।
- যদি কোনোভাবেই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব না হয় তবে বাইরে বেরিয়ে যান। একাই কোথাও ঘুরে আসুন। হাটাহাটি করে আসুন। মন শান্ত হবে।
- যারা অল্পতেই রেগে যান এবং এই রকম নিয়মিতই হয় তা ধ্যান করতে পারেন। মেডিটেশন বা ধ্যান করলে রাগে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি ব্যক্তিত্বকেও আরও শক্তিশালী করবে।
- মেডিটেশনের মতো নিয়মিত শরীরচর্চাও রাগ সামলানোতে কার্যকরী। কারণ এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখৌ। শরীরচর্চা করলে মানুষের হরমোনাল পরিবর্তনও হয়। উন্নত খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে। তাই রাগসহ আরও কিছু বদ অভ্যাস দূর হয়ে যায়।
- শারীরিক গোলযোগের কারণে মনের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। যে কারণে হুট করেই রেগে যায়। তাই শারীরিক কোনো জটিলতা থাকলে চিকিত্সা করিয়ে নিন।