• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩০, ১ শাওয়াল ১৪৪৬

নবজাতক অতিরিক্ত কাঁদলে যা করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম
নবজাতক অতিরিক্ত কাঁদলে যা করবেন
ছবি: সংগৃহীত

কোন বাসায় ছোট বাচ্চা আছে তা বুঝা যায় মাঝে মধ্যে কান্নার শব্দে। কান্নাই শিশুর ভাষা। কান্নার মাধ্যমেই শিশু তার চাহিদা ও সমস্যার কথা মাকে জানান দেন। শিশুরা নানা কারণেই কাঁদতে পারে। তবে অতিরিক্ত কাঁদা স্বাভাবিক নয়। শিশুর যখন খুব সমস্যা হয় বা অস্বস্থি হয় তখনই সে অতিরিক্ত কান্না করে।

অনেক সময় নবজাতকের ক্ষুধা লাগলে কান্না করে। তখন তাকে খাবার দিলে থেমে যায়। যদি দেখেন আপনার শিশুর কান্না কোনো ভাবেই থামছে না এবং কাঁদতে কাঁদতে পা পেটের কাছে নিয়ে আসে তখন বুঝতে হবে তার পেটে কোন সমস্যা হচ্ছে। এসময় যদি নবজাতকের শরীর অতিরিক্ত মোচড়ায় বা পেট ফুলে থাকে তখন বুঝবেন তার পেটে গ্যাস হয়েছে।

নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে কী করবেন

শিশুর পেটে গ্যাস হলে তার শরীর ও পেটে ম্যাসাজ করলেও কিছুটা উপকার পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে শিশুর পেটে নাভির চারপাশে আঙ্গুল দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। তাতেও বাতাস বের হয়ে আসবে।

পেটে গ্যাস জমেছে মনে হলে একটি ব্যায়াম করাতে পারেন। যেহেতু নবজাতক নিজে থেকে হাত পা নাড়ায় না তাই তাকে চিত করে শুইয়ে তার দুই পা ধরে সাইকেলের প্যাডেল ঘোরানোর মতো করে নড়াচড়া করানোর চেষ্টা করতে হবে।

বাচ্চাকে সোজা শুইয়ে দিন। তার পর হাঁটুর কাছ থেকে পা ধরে পেটের দিকে মুড়ে দিন। অর্থাৎ দুই হাটু এক সঙ্গে পেটের কাছে নিয়ে যাবেন। এভাবে ৫ সেকেন্ড থাকবেন। তিন বার এই প্রক্রিয়া করুন। এর ফলে বাচ্চাদের পেটে জমে থাকা গ্যাস সহজে বেরিয়ে যাবে।

এর পরও যদি বাচ্চার গ্যাস না কমে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

নবজাতকের পেটে যেন গ্যাস না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর সেজন্যে তাকে দুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢেকুর তোলানো বা বাম্পিং করা দরকার।  

বাম্পিং করাবেন যেভাবে

নবজাতককে দুধ খাওয়ানোর পর পরই শুইয়ে না রেখে বরং কোলে নিয়ে সোজা করে রাখুন। এমনভাবে কোলে নিতে হবে, যেন শিশুর থুতনি মায়ের কাঁধের ওপর থাকে। এবার এক হাত দিয়ে মা বাচ্চাকে ধরে রেখে এবং অন্য হাত কাপের মতো আকৃতি করে পিঠে আলতোভাবে চাপ দেবেন। এতে শিশুর হজম হবে দ্রুত, পেটে গ্যাস জমবে না।

তবে অনেক সময় তার অন্য কোন সমস্যা হলেও নবজাতক কাঁদতে থাকে। যেমন-

  • অনেক সময় শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেও শিশু কান্না করে। তাই তার ঘুমের পরিবেশ ঠিক করুন।
  • অনেক বেশি কান্না করলে তাকে নিয়ে গেলে বাইরের পরিবেশে সে কান্না থামিয়ে দেয়।
  • অনেক সময় শিশু ভয় পেলে কাঁদে। তখন তাকে আলতো করে চাপড় দিলে সে নিরাপদ বোধ করবে এবং শান্ত হবে। 
Link copied!