আসছে কোরবানির ঈদ। প্রতিবারের মতো এবারের ঈদুল আজহাতেও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের পশু কোরবানি করবেন। দেশজুড়ে পশু কোরবানির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বসছে পশুর হাট। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে বেঁচা-কেনা। তবে ইতোমধ্যেই ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপাড়ায়। কোরবানির প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত করে শুরু করেছে বিক্রিও। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রকম ছুরি, বটি ও চাপাতি।
এই ঈদে ব্যস্ত সময় পার করেন কামারপাড়ার দোকানিরা। পশু কোরবানিতে এবং এর মাংস বন্টনের জন্য প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামাদি সাজিয়ে বসেন তারা। প্রতিবছরই ক্রেতারাও ভিড় জমান সেখানে। কেউ নতুন করে ছুরি, বটি, দা, চাপাতি কিনে নেন। আবার কেউ পুরোনো ছুরি বটি শান দিয়ে নেন। তাই কোরবানির ঠিক আগ মুহূর্তে এসব সরঞ্জামাদি কিনতে ছুটে যান ক্রেতারা।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের কামারপাড়ায় পাওয়া যায় এসব প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি। কোরবানির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির মধ্যে কী কী থাকে চলুন জেনে নেই এই আয়োজনে।
কোরবানির জন্য কিনতে পারেন চাপাতি, দা, বটি, ও চাইনিজ কুড়াল। ছুরির মধ্যে রয়েছে- পশুর চামড়া ছাড়ানোর ছুরি, মাংস কাটার ছুরি, কোপ ছুরি এবং পশু জবাই করার ছুরি। কোরবানির পর মাংস কাটার সময় তাৎক্ষণিক হালকা শান দেওয়ার জন্যও পাওয়া যাচ্ছে রেত বা স্টেন।
কামারপাড়ায় এসব সরঞ্জামাদি বানাতে ব্যবহার হয় লোহার প্লেট বা পাত। যার নাম স্প্রিং। অর্ডার দিয়ে লোহার তৈরি ছুরি-চাপাতিও তৈরি করে নেওয়া যায়।
ক্রেতারা কোরবানির প্রয়োজনীয় এসব সরঞ্জামাদি কেজি দরে বা পিস হিসেবে কিনতে পারেন। আবার সেট হিসেবেও কিনে নেওয়া যাবে।
পিস হিসেবে কিনতে গেলে ভালো মানের চাপাতির দাম পড়বে ৫০০-৬০০ টাকা। একই দামে পাওয়া যাবে জবাই করার ছুরি। আর পশুর চামড়া ছাড়ানোর ছুরি ২০০-৩০০ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
মাংস কাটার ছুরি ১৫০-২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। ছোট-বড় আকারের বটির দাম পড়বে ৮০-৮০০ টাকার মধ্যে। তাৎক্ষণিক শানের জন্য ভালো মানের রেত ৫০ টাকায় পাওয়া যাবে। চাইনিজ কুড়ালের দাম পড়বে প্রায় ৪০০-৭০০ টাকার মধ্যে।
এছাড়াও সব প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সেট করেও কিনে নিতে পারেন। যার দাম পড়বে ১৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে।
কেজি দরে কিনতে চাইলে প্রতি কেজি পাকা স্প্রিংয়ের দাম পড়বে ৬০০ টাকা। রেতের কেজি ধরা হয়েছে ২৫০ টাকা। প্লাগ বা এঙ্গেলের কেজির দাম পড়বে ১৫০ টাকা। চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। আর বঁটি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে।
পুরনো ছুরি-চাপাতি বা বঁটিতে শান দিয়ে ধারালো করতে খরচ হবে ৫০-৮০ টাকা। ছোট ছুরিতে শান দিতে লাগবে মাত্র ২০-৩০ টাকা। বড় ছুরির শান দিতে লাগবে ৫০-৭০ টাকা। পুরোনো বঁটিতে শান দিতে লাগবে ৬০-৮০ টাকা।