• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বয়সের ব্যবধান কত হলে সংসার সুখের হয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
বয়সের ব্যবধান কত হলে সংসার সুখের হয়
ছবি: সংগৃহীত

প্রেমের বিয়ে হোক কিংবা পারিবারিক বিয়ে, স্বামী স্ত্রীর সব যেন খাপে খাপে মিলতে হয়। নয়তো যেন সংসার সুখের হবে না। বিশেষ করে বর কনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে তো বিশাল মতভেদ থাকে। কারো মতে, সমবয়সী বিয়ে ভালো নয়। কেউ আবার মনে করেন স্বামী স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য বেশি থাকাও ঠিক নয়। আবার স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বড় হওয়া তো যাবেই না। এটা সমাজবিরোধী কাজ। বরং স্ত্রীকে স্বামীর বয়সের ছোটই হতে হবে।
বিভিন্ন মতভেদ থাকলেও সংসার সুখের হয় কিসে তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। দুজন মানুষ বিয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। তারা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়। ভালো থাকা তাদের সমঝোতার উপরই নির্ভর করে। 
তবে বয়সের ব্যবধান নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও মত দিয়েছেন। তাদের মতে, বিয়েতে স্বামী স্ত্রীর বয়সের পার্থক্যের পেছনে রয়েছে জৈবিক, শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক কারণ। আবার বয়স মানুষের ব্যক্তিত্বের উপরও প্রভাব ফেলে। বিয়ে জন্য নারী পুরুষ দুজনের মধ্যেই ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ হওয়া ভালো। তবে এর ব্যতিক্রমও হয়।

সাম্প্রতিক আমেরিকায় করা এক গবেষণায় জানা গেছে, সমবয়সী কারও সঙ্গে সংসার করার চেয়ে খানিকটা ব্যবধান থাকলে ভালো হয়। তবে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ১০ বছরের ব্যবধান থাকতে হবে তা কিন্তু নয়। বরং যে সব দম্পতির মধ্যে বয়সের ব্যবধান ৩ থেকে ৫ বছর, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি সুখী হয়। আবার যাদের মধ্যে ৬-৭ বছরের ব্যবধান থাকে, তারা তুলনামূলক আরও সুখী দম্পতি হয়। তবে বয়সের ব্যবধান খুব বেশি হলে দাম্পত্যে সুখের পরিমাণ কমে যাবে।

গবেষকরা আরও জানান, যেসব ব্যক্তির সঙ্গী বয়সে ছোট হয় তাদের দাম্পত্যজীবন সুখের হয়। কিন্তু সঙ্গী যদি ৭বছরের বেশি ছোট হয় সঙ্গী সেক্ষেত্রে বোঝাপড়ায় ঝামেলা হতে পারে। যা দাম্পত্যে কলহ বাড়াবে।
বয়সের ব্যবধান সংসার সুখের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে এর কিছু কারণ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন_

জৈবিক কারণ

জীববিজ্ঞানের আলোকে দেখা যায়, নারী ও পুরুষের মধ্যে বয়সের পার্থক্য হওয়া ভালো। কারণ  বার্ধক্যের লক্ষণ নারীদের মধ্যে দ্রুতই আসে। যা তুলনামূলক পুরুষদের অনেক পরে দেখা যায়। নারীরা দেখতে দ্রুত বয়স্ক হয়ে যায়। তাই বয়সে ছোট মেয়েকে বিয়ে করলে একসময় মানিয়ে যায়।

মানসিক কারণ

বয়সের ব্যবধানের কারণে সম্পর্কের ভারসাম্য ঠিক থাকে বলেও মনে করে বিশেষজ্ঞরা। মানসিকভাবে পরিপক্ব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্থবিরতা আসে। যা সম্পর্কের ভারসাম্য ঠিক রাখে। এতে সম্পর্ক বিরক্তিকর হয় না। কিন্তু বয়সের ব্যবধান কম হলে দুজনের বোঝাপড়ায় ঝামেলা হতে পারে। কারণ মেয়েদের মানসিক বিকাশ ছেলেদের তুলনায় দ্রুত হয়। মেয়েটি সাংসারিক হয়ে উঠলেও ছেলেটি হয়তো তখনও সংসারে মন দিতে পারে না। তাই ছেলেদের বয়সে বড় হওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।

আর্থিক নিরাপত্তা

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন ব্যক্তি আর্থিক দিকেও সাবলম্বী হয়। আর্থিক নিরাপত্তা পায়। আর্থিক দিকে স্থিতিশীলতা আসে। স্ত্রীও আর্থিকভাবে নিরাপত্তা পায়। নয়তো সংসারের অনেককিছুই গুছিয়ে নিতে সমস্যা হয়। তাই আর্থিক দিক থেকেও বয়সের ব্যবধান থাকলে সংসার সুখের হয়।

সম্পর্কের টানাপোড়ন

স্বামী বয়সে বড় হলে এবং স্ত্রী ছোট হলে বেশি ভালোবাসা পাবেন। সম্পর্কে মাধুর্য থাকে। অন্যদিকে সমবয়সী হলে সম্পর্কের শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। খুঁনসুটি বেশি লেগে থাকে। কারণ তাদের বোঝাপড়ায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি হন না। তাই সম্পর্কের টানাপোড়ন লেগেই থাকে। 

শারীরিক জটিলতা

মেয়েদের মেনোপজ এবং গর্ভাবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে থাকে। তাই নারীদের বেশি  বয়সে বিয়ে না করাই ভালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  মেয়ের বয়স কম হলে বৈবাহিক সম্পর্ক ভালো হয়। সন্তান জন্মের জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না।

Link copied!