• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খাঁচায় পাখি পালন নিয়ে কী বলছে ইসলাম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
খাঁচায় পাখি পালন নিয়ে কী বলছে ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

ডানা মেলে আকাশে উড়ে বেড়ায় পাখি। একঝাঁক পাখির উড়ে বেড়ানো দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। কিন্তু সেই পাখিকে খাঁচায় বন্দী রেখে শখ পূরণ করেন অনেকে। খাঁচার পাখিদের নিয়ে অবসর সময় কাটে। প্রিয় পাখিকে খাঁচায় রেখে তার দেখভাল করেন। যত্ন করেন। বাচ্চা ফুটান। এভাবেই প্রিয় পাখির বংশ বৃদ্ধি হয়। কিন্তু জানেন কি, পাখিকে লালন পালনের জন্য  খাঁচায় বন্দী রাখা কতটা জায়েজ? এই বিষয়ে ইসলাম ধর্ম কী বলেছেন?

ইসলাম ধর্মে খাঁচায় বন্দী রেখে পাখি লালন পালনকে জায়েজ বলেছেন। তবে পালিত পাখির  উত্তমভাবে জীবন ধারণের উপযোগী খাবার-পানীয় ও পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। পাখির যেন কোনো কষ্ট না হয় তাও খেয়াল রাখতে হবে।

হাদিস থেকে জানা যায়, কিছু সাহাবি শখের বশে খাঁচায় রেখে পাখি পুষতেন। হজরত হিশাম ইবনে উরওয়া (রা.) বলেন, “আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) মক্কায় ছিলেন। তখন সাহাবিরা খাঁচায় পাখি রাখতেন। (আল আদাবুল মুফরাদ: ৩৮৩)”

আরও এক হাদিসে আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, “আমার এক ভাই ছিল; তার নাম ছিল আবু উমায়ের। যখনই সে নবিজির (সা.) কাছে আসতো, তিনি বলতেন, হে আবু উমায়ের! তোমার নুগায়ের কী করছে? (পোষা পাখির নাম) সে নুগায়েরকে নিয়ে খেলত। তিনি আমাদের ঘরে নামাজের জন্য দাঁড়াতেন এবং আমরাও তার পেছনে দাঁড়াতাম। আর তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ আদায় করতেন। (সহিহ বুখারি: ৬১২৯)”

সুতরাং খাঁচায় বন্দী পাখিকে থাযথ পরিচর্যা করতে হবে। যদি তা করা সম্ভব না হয় তবে পাখিকে বন্দী রাখা যাবে না।

আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি দয়া করা, খাবার খাওয়ানো, কষ্ট দূর করা, কোনো বিপদে পড়লে উদ্ধার করা  সওয়াবের কাজ। পশুপাখিকে কষ্ট দেওয়া, হত্যা করা অত্যন্ত গুনাহের কাজ।

ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, “এক নারীকে একটি বেড়ালের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সে তাকে বেঁধে রেখেছিল এবং অবশেষে বেড়ালটি মারা গিয়েছিল, পরিণতিতে ওই নারী তার কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করেছে। সে যখন তাকে বেঁধে রেখেছিল, তখন তাকে আহার ও পানি দিত না এবং তাকে ছেড়েও দিত না যে, সে কীট-পতঙ্গ ধরে খাবে। (সহিহ বুখারি: ২৩৬৫)”

হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, “একবার এক তৃষ্ণার্ত কুকুর কূপের পাশে ঘোরাঘুরি করছিল। তৃষ্ণায় তার প্রাণ বের হওয়ার উপক্রম হয়। বনি ইসরাইলের এক ব্যভিচারী নারী তা দেখতে পেয়ে নিজের পায়ের মোজা খুলে মোজায় পানি ভরে কুকুরটিকে পানি পান করায়। এ কারণে তার আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৩৪৬৭)”

পশুপাখিকে হত্যার বিষয়ে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ইসলামে। রাসুল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি চড়ুই অথবা তা থেকে ছোট কোনো জন্তুকে অন্যায়ভাবে (খাওয়ার প্রয়োজন বা ক্ষতির আশংকা ছাড়া) হত্যা করে, আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করবেন। (সুনানে নাসাঈ: ৪৩৫০)”

Link copied!