পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা হজের নির্দিষ্ট মাস হিসেবে হিজরি ক্যালেন্ডারের শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ মাসকে বুঝিয়েছেন। এই তিন মাসেই হজের ইহরাম বাঁধা ও হজের আমলগুলো সম্পন্ন করতে হয়। শাওয়াল মাসের আগে হজের ইহরাম বাঁধা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন, হজের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস রয়েছে। এ মাসগুলোতে যে কেউ হজ করার মনস্থ করবে, তার জন্য হাজের মধ্যে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয় এবং তোমরা যে কোন সৎ কাজই কর, আল্লাহ তা জানেন এবং তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা করবে আর তাক্বওয়াই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে জ্ঞানী ও বিবেকবানরা! আমাকেই ভয় করতে থাক। (সুরা বাকারা: ১৯৭)
হজের মাসে ওমরাহ পালন নিয়ে বলা রয়েছে, হজের মাসসমূহের মধ্যে শুধু হজের পাঁচদিন অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখে ওমরাহ করা মাকরুহ তাহরিমি। এই দিনগুলোতে ওমরাহ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া হজের মাস শাওয়াল ও জিলকদে ওমরাহ পালন করা যাবে। এছাড়াও জিলহজ মাসের প্রথম আট দিন ওমরাহ করা যায়। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখগুলোতে ওমরাহ করা মাকরুহ তাহরিমি।
নবিজি (সা.) হজের মাসসমূহেই ওমরাহ আদায় করেন। তাই অনেকে হজের মাসসমূহে ওমরাহ করাকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করেন। যদিও নবিজির (সা.) কোনো হাদিসে সুস্পষ্টভাবে হজের মাসে ওমরাহ করার বিশেষ কোনো ফজিলত বর্ণিত হয়নি। তবে রমজান মাসের ওমরাহ পালন বিশেষ ফজিলতপূর্ণ বলে বর্ণিত রয়েছে হাদিসে ।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, রমজানের ওমরাহ একটি হজের সমতুল্য অথবা আমার সঙ্গে হজ করার সমতুল্য। (সহিহ বুখারি: ১৭৮৬, সহিহ মুসলিম: ১২৫৬)