পরিবেশ দূষণের তালিকার শীর্ষে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নামও রয়েছে। সেই দূষণ প্রভাব ফেলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও। ত্বক ও চুলের ক্ষতিও হয়। নানা কাজে বাড়ির বাইরে যেতে হয়। ঘর থেকে বাইরে গেলেই ত্বকের উপর ক্ষতিকর পরিবেশের প্রভাব পড়ে।
পরিবেশ দূষণের কারণে ত্বকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়। ত্বকে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিক্যাল তৈরি হয়। ত্বক হয় রুক্ষ। বলিরেখা, কালচে ভাব দেখা যায়। দূষণের কারণে ত্বকের মেলানিন উৎপাদন বেড়ে যায়। ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়। তাই ক্ষতিকর পরিবেশ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
ত্বক পরিষ্কার
ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ডাবল ক্লিনজিং ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের গভীরের ধুলো-বালি পরিষ্কার হবে। মিসেলার ওয়াটার বা ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করুন। মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করবেন। এতে ত্বকের কোনো ক্ষতি হয় না।
সানস্ক্রিন
মিনারেল বেজড সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এটি সূর্যরশ্মি থেকে আলো শোষণ করে না। বাড়তি সুরক্ষাও দেয়। তাই ত্বকের সুরক্ষায় মিনারেল বেজড সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
ভিটামিন ই ও সি
নিয়মিত ভিটামিন ই ও সি যুক্ত ময়েশ্চারাইজর বা সেরাম ব্যবহার করুন। সকালে ত্বক পরিষ্কারের পর অবশ্যই সেরাম ব্যবহার করুন। ভিটামিন দুটিতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস রয়েছে। যা ত্বককে ফ্রি-র্যাডিক্যাল অর্থাৎ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে সুরক্ষা দেবে। পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধেও লড়াই করবে।
রেড অ্যালগি সমৃদ্ধ পণ্য
মোবাইল ফোন বা গ্যাজেট থেকে ব্লু লাইট নির্গত হয়। যা থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে রেড অ্যালগির নির্যাস সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করুন। রেড অ্যালগির নির্যাস সমৃদ্ধ সেরাম, ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন।
রাতে যত্ন নিন
রাতে শোয়ার আগে নিয়মিত টোনার ব্যবহার করুন। রাতে হায়ালুরনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হাইড্রেটিং সেরাম ত্বকের জন্য ভালো হবে। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখবে। সারাদিনের ক্ষতিকর প্রভাব পূরণ করবে।