আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ফ্রিজ একটি আশীর্বাদই বলা যায়। অন্য কিছু না থাকুক, ফ্রিজ যেন থাকতেই হয়। তবে মুশকিল হয়ে যায় অনেক সময় বিদুৎ চলে গেলে কিংবা লোডশেডিংয়ের সমস্যা হলে। এই সময় ফ্রিজে থাকা জিনিস নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। বিদ্যুৎ যাওয়ার কিছু সময় পর থেকে বুকের ভেতর দুরুদুরু করতে থাকে।
তবে কিছু কৌশল মেনে চলতে পারলে এই চাপ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যাবে। আর তা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব ফ্রিজের দরজা না খোলা। বিদ্যুৎ না থাকা অবস্থায় ফ্রিজের দরজা খুললে ভেতরের অবস্থা ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ঠান্ডা থাকে, তাই জিনিসও ভালো থাকে।
আর দরজা খোলা হলে বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে ভেতরের তাপমাত্রা ভারসাম্য হারিয়ে ভেতরে রাখা জিনিস নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। ডিপ ফ্রিজের ভেতরটা যদি আধা ভর্তি থাকে তাহলে ২৪ ঘণ্টা এবং পুরো ভর্তি থাকলে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তাপমাত্রা ঠান্ডা থাকে।
তাই বেশি সময়ের জন্য বিদ্যুৎ না থাকলে যতটা সম্ভব বাইরে থাকা খাবার ও সাধারণ ফিল্টার করা পানি পান করাই ভালো। আজকাল অনেক আধুনিক ফ্রিজে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র থাকে। আর না থাকলে একটি থার্মোমিটার ফ্রিজারের ভেতর রাখা উচিত। যাতে তাপমাত্রা বোঝা যায়।
বেশি সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলে, ফ্রিজার ও ফ্রিজের ভেতরটা গরম হয়ে যাচ্ছে কি না সেটা বোঝা যাবে থার্মোমিটার দেখে। ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজারের সঠিক তাপমাত্রা বেশিক্ষণ বজায় রাখার জন্য আলাদা করে বরফ রাখতে পারলে ভালো।
এক্ষেত্রে বোতলে রাখা পানিও বরফ অবস্থায় রাখতে পারেন। রেফ্রিজারেইটরে দুইটি অংশ থাকে। একটা সাধারণ ঠান্ডা করার জায়গা। আরেকটি বরফ করে রাখার জায়গা।
দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলে বোতল ও টিনজাত খাবার ফ্রিজে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।