শীত এলে প্রথমেই যে খাবারের কথা মনে আসে তা হলো পিঠা-পুলি। আর গুড় ছাড়া পিঠা-পুলির স্বাদ জমে না। এ সময় গুড়ের স্বাদ-ঘ্রাণ মুগ্ধ করে রাখে সবাইকে। শুধু স্বাদই নয়, গুড়ের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। আর এ কারণেই বিশেষজ্ঞরা চিনির পরিবর্তে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু কথা হলো, ভেজালের এই যুগে আসল গুড় চেনা বেশ মুশকিল। তাই চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক আসল গুড় চেনার কয়েকটি উপায়-
- গুড় কেনার সময় প্রথমে একটু ভেঙে নিয়ে মুখে দিয়ে দেখুন নোনতা বা তেতো স্বাদ লাগছে কি না। যদি এমন স্বাদ থাকে তাহলে বুঝবেন গুড়ে কেমিক্যাল মেশানো আছে।
- আসল গুড়ের রং কালচে কিংবা গাঢ় বাদামি হয়। গুড়ের রং যদি সাদা, হলুদ কিংবা লাল হয়, তাহলে বুঝতে হবে এটি আসল নয়।
- গুড়ের ধারটা আঙুল দিয়ে চেপে দেখুন। যদি নরম লাগে, বুঝবেন এটি আসল আর ধার যদি বেশি শক্ত থাকে তাহলে না কেনাই ভালো। সাধারণত গুড়ের রং গাঢ় বাদামি হয়। হলদেটে রঙের গুড় হলে বুঝতে হবে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো। তাছাড়া কৃত্রিম চিনি মেশানো গুড় দেখতে চকচকে হয়।
জেনে নিন গুড়ের উপকারিতা
- গুড় মেশানো পানিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস পাওয়া যায়।
- হালকা গরম পানিতে গুড় মিশিয়ে খেলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা যায়। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যও দারুণ উপকারী গুড়ের পানি।
- সর্দি-কাশির সমস্যায় হালকা গরম পানির সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
- গুড়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস ও মিনারেলস আছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়ায় গুড়।
- গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় অ্যানিমিয়ার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। রক্ত পরিশুদ্ধ রাখতেও দারুণ সাহায্য করে গুড়।