গৃহপালিত প্রাণীর মধ্যে কবুতর বেশ জনপ্রিয়। শখের বশে যারা কবুতর পোষেন তাদের পছন্দের তালিকায় গিরিবাজ অন্যতম। এ জাতের কবুতর অনেক সময় ধরে আকাশে উড়তে পারে। এবং আকাশে ডিকবাজি দেয়।
এ কবুতর আকাশের অনেক ওপরে পর্যন্ত উঠতে পারে। এরা এতো ওপরে উঠতে পারে যে, কখনও কখনও মেঘেও ঢাকা পড়ে। যারা শখ করে এ কবুতর কিনতে চান কিন্তু চিনতে পারেন না, তারা জেনে নিতে পারেন গিরিবাজ কবুতর চেনার উপায়-
- আসল গিরিবাজের চোখের মনি মুহূর্তেই ছোট এবং বড় হতে দেখা যায়। এদের চোখের মনির অবস্থান ভিতরের দিকে থাকে।
- এ কবুতরের পাখনা লেজের সমান বা লেজ এর থেকে অল্প একটু খাটো থাকে।
- দূর থেকে চোখের দিকে তাকালে মনে হবে চোখে পানি ভাসছে।
- দুই পাখা দিয়ে পায়ের রানের শেষ পর্যন্ত ঢাকা থাকবে।
- এ জাতের কবুতরের বুক উঁচু থাকে।
- এদের গলা খুব কম স্প্রিং করবে এবং ঘাড় লম্বা বা খাটো হতে পারে।
- চোখের চারদিকে কালো বা হালকা কালো রাউন্ড দেখতে পাওয়া যাবে।
- অনেক গিরিবাজের চোখের মনির চারদিকে নীলচে বা কালো দেখা যায়।
- এরা উড়ার সময় বাম পাখনা কোণাকোণি ও ডান পাখনা পুরোটা মেলে ওপর-নিচে নামাবে যা দেখতে কিছুটা বাজপাখির মত মনে হবে।
- অনেক ওপরে উঠবে এবং ওপরেই বেশিক্ষণ অবস্থান করবে।
গিরিবাজ পালনের নিয়ম
এই জাতের কবুতর পালন পদ্ধতি দেশীয় কবুতরের মতো হলেও এর খাওয়া ও উড়ার ব্যাপারে বেশি যত্নশীল হতে হয়। অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার খেতে দেওয়া যাবে না। এতে কবুতরের ওজন বেড়ে যায় এতে করে দীর্ঘ সময় ওড়ার ক্ষমতা কমে যায়। এই কবুতরকে প্রতিদিন অন্তত একবার আকাশে দীর্ঘ সময় উড়াতে হবে।