বাঙালির জাতীয় ফল কাঁঠাল। এটি শুধু ফল নয়, বরং সবজিও বটে। কারণ কাঁচা কাঠাল সবজি হিসেবে খেয়ে থাকে বাঙালিরা। যদিও তখন এর নাম থাকে এঁচোড়। বলা যায়, কাঁচাতে এঁচোড় আর পাকলে হয় কাঁঠাল। অনেকের কাছে নামই এখনও অজানা। তবে কমবেশি সবাই এঁচোড়ের স্বাদ নিয়েছে। এটি বাঙালির প্রিয় সবজি। যদিও খুব কম সময়ই এটি পাওয়া যায়। তবে গরমের শুরুতে এখনই গাছে কাঁচা কাঁঠাল, মানে এঁচোড়ের দেখা মিলবে। কিছু কিছু জায়গায় এটি গাছ পাঁঠা নামেও পরিচিত।
গরম পড়তেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এঁচোড়। বাঙালিদের এই সময় পাতে এঁচোড় তরকারি চাই। বিশেষ করে এঁচোড় চিংড়ি ও এঁচোড় গোস্ত। এঁচোড় দিয়ে গরু মাংস রান্নাও বেশ মজা। আবার এঁচোড়ে মুরগি রান্নাও কিন্তু ভীষণ প্রিয় একটি খাবার। রমজান মাসে সাহরি ও ইফতারে নতুন পদ রান্না হয়। এবার এই গরমে সাহরিতে এঁচোড় চিকেন রান্না করে নিন। বাড়ির সবাই বেশ পছন্দ করবে এই খাবারটি।
যা যা লাগবে
- এঁচোড়
- মুরগি
- পেঁয়াজ
- টমেটো
- আদা
- রসুন
- কাঁচা মরিচ
- টকদই
- ধনে গুঁড়ো
- মরিচ গুঁড়ো
- কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়ো
- দারুচিনি
- এলাচ
- সরষের তেল
- লবণ
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে মুরগি ছোট করে কেটে নিন। এরপর ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার মুরগির মাংসের সঙ্গে সরষের তেল, টকদই, লবণ, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ম্যারিনেট করুন। ভালোভাবে ম্যারিনেট হলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। অন্যদিকে এঁচোড় কেটে রাখুন। এরপর লবণ পানিতে হালকা সেদ্ধ করে নিন।
এবার কড়াইয়ে তেল দিন। এতে দারুচিনি ও এলাচ ফোড়ন দিন। একটু ভেজে নিন। এরপর তাতে পেঁয়াজকুচি দিয়ে লালচে করে ভাজুন। পেঁয়াজ ভাজা হলে তাতে আদা-রসুন বাটা দিন। এবার এতে মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে দিন। স্বাদমতো লবণ দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। মশলা কষানো হলে এবার এঁচোড় দিন। ভালভাবে কষান। এরপর এতে ম্যারিনেট করা চিকেনটা দিয়ে দিন। মশলা কষে তেল ছাড়াতে শুরু করলে গরম পানি দিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল এঁচোড় চিকেন। গরম ভাতের সঙ্গে এটি পরিবেশন করুন।