তীব্র তাপপ্রবাহে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বৈশাখের কড়া রোদ যেন কমছেই না। প্রখর রোদের তীব্রতায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অস্বস্তিতে ভুগছে প্রাণীগুলোও। পথে পথে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীরা অস্বস্তির কথা মুখে বলতে পারে না। কিন্তু তারাও রোদের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এছাড়া বাড়িতে পোষা প্রাণীও প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে। গরমে বাড়ির চারপেয়ে পোষ্যটিকেও যত্নে রাখতে হবে। অনেকে গরম থেকে বাঁচাতে পোষা প্রাণীগুলোকে সারাক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখে। এতেও তাদের শরীরের কষ্ট দূর হয় না। বরং বেশিরভাগ সময় এসিতে থাকলে পোষা প্রাণীর শরীরও জলশূন্য হয়ে পড়ে। তাই এই গরমে প্রাণীদের সুস্থতায় বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। পথে ঘুরে বেড়ানো প্রাণী হোক কিংবা বাড়ির পোষা প্রাণী, তাদের সুস্থতায় সাধারণ মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। এই গরমে তাদের যত্ন যেভাবে নেওয়া যাবে চলুন জেনে আসি এই আয়োজনে।
- পোষা প্রাণীকে প্রতিদিনই ভালো করে গোসল করাবেন। প্রয়োজনে একাধিক বারও গোসল করাতে পারেন। বিড়ালকে স্বাভাবিক পানি দিয়েই গোসল করান। আর পোষা কুকুরকে গোসল করালে পানিতে কয়েক টুকরো বরফ দিয়ে নিতে পারেন।
- পোষা প্রাণৗর শরীরের লোম থাকলে গরম কম লাগবে। লোম দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে খুব বেশি বড় যেন না থাকে। বড় হওয়ার আগেই লোম ছেটে ছোট দিন।
- পোষা প্রাণৗর থাকার জায়গাটি যেন খোলামেলা হয়। সেখানে যেন চলাচলের যথেষ্ট সুযোগ থাকে।
- গরমের দিনে তোয়ালে ভিজিয়ে কুকুরকে শুতে দিতে পারেন। পথে ঘুরে বেড়ানো কুকুরগুলোকেও স্বস্তি দিতে ভেজা তোয়ালে বা কাপড় গায়ে জড়িয়ে দিন।
- গরমে পোষা প্রাণীকে বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। তরমুজ, আপেলের মতো ফল খাওয়াতে পারেন। পথের কুকুরকেও খাবার দিন। পানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন।
- দিনের বেলা বাইরে প্রচণ্ড রোদ। পোষা প্রাণীকে বাড়ির বাইরে কম বের করুন। বাড়িতেই অল্প খেলাধুলো করতে দিন। সন্ধ্যার দিকে হাঁটাতে নিয়ে যেতে পারেন। অন্যদিকে পথের প্রাণীগুলো যেন ছায়ার নীচে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করুন। কোনো বাড়ির ছাদে বা গলির ভেতরে এমন জায়গার ব্যবস্থা করে দিন যেখানে রোদের তাপ কম থাকবে।
- পোষা প্রাণীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি করে মাল্টিভিটামিন নিয়মিত খাওয়ান। এতে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।