আজকাল অনেকে আছেন যারা ফিটকিরির সঙ্গে তেমন একটা পরিচিত নন। অথবা ফিটকিরির ব্যবহার করার উপায় জানা নেই। সাধারণত জীবানুনাশক হিসেবে ফিটকিরির ব্যবহার হয়ে থাকে বেশি। বিশেষ করে পানি পরিশোধনের কাজে বেশি ব্যবহার করা হয় এটি। এছাড়া আরও অনেক কাজে এর পারদর্শিতা রয়েছে। চলুন জেনে নিই-
ব্রণ প্রতিরোধ করে
মুখের ব্রণ প্রতিরোধে ফিটকিরি দারণ কাজ করে। এক চামচ মুলতানি মাটি, দুই চামচ ডিমের সাদা অংশ ও এক চামচ ফিটকিরির গুঁড়া দিয়ে প্যাক বানান। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এই মিশ্রণ মুখে মাখুন। দ্রুত উপকার মিলবে।
দুর্গন্ধ নাশ করে
ডিওডরেন্ট বা দুর্গন্ধনাশক স্প্রে শেষ হয়ে গেলে হাতের কাছে থাকা ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। ফিটকিরির গুঁড়ার সঙ্গে গন্ধরস মেশান। গন্ধরস বা মস্তকি এক ধরনের গাছের আঠা বিশেষ। এই দুইয়ের মিশ্রণে তৈরি করে নিন নিজের ডিওড্র্যান্ট।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে
মুখের দুর্গন্ধ অনেকেরই অস্বস্তির কারণ। মূলত দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়ার কারণে মুখে গন্ধে হয়। ফিটকিরি এই ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সক্ষম। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চিমটে লবণ আর ফিটকিরির গুঁড়া মেশান। মিশ্রণ ঠাণ্ডা হলে, তা দিয়ে কুলকুচি করুন। নিয়মিত ঘুম থেকে উঠে আর ঘুমোতে যাওয়ার আগে এভাবে কুলকুচি করতে পারলে মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে।
মুখের ঘা নিরাময় করতে
মুখের ভেতরে কোনো ঘা হলে, সেখানে ফিটকিরি লাগিয়ে নিন। জ্বালা করতে পারে এবং মুখের ঘা তাড়াতাড়ি শুকাবে। তবে এই সময় মুখের লালা না গিলে বাইরে ফেলে দিন।
মুখের বয়সের দূর করতে
অনেক সময় ক্লান্তিতে বা অধিক পরিশ্রমে মুখে বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মুখমণ্ডলের সতেজভাব ফিরিয়ে আনতে এক টুকরা ফিটকিরি পানিতে ভিজিয়ে মুখে ভালো করে ঘষুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা লোশন লাগিয়ে নিন।
উকুননাশক হিসেবে
নানা কারণে মাথায় উকুন হতে পারে। এক্ষেত্রে ফিটকিরির গুঁড়া মেশানো পানিতে একটু চা গাছের তেল মেশান। এবার ১০ মিনিট ধরে মাথার ত্বকে (স্ক্যাল্পে) মাসাজ করুন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। উকুনের সমস্যা থেকে দ্রুতই মুক্তি মিলবে।