কেবল ছিপছিপে শরীর পেতেই নয়, হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও নিয়মিত শরীরচর্চা প্রয়োজন আছে। আর সেই জীমের পোশাক নিয়ে অনেকেই অবহেলা করেন। ঢিলেঢালা পুরোনো টি-শার্ট পরেই বের হয়ে যান। কিন্তু এই বেলায় বলে রাখা ভালো, অভ্যাসটা বদলে ফেলুন। জীমে সঠিক পোশাক থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।
- যেহেতু শরীর চর্চা করবেন, তাই বডি মুভমেন্ট হবে এবং আপনার ঘাম ঝরবে। যত বেশি কসরত করে ঘাম ঝরাতে পারবেন, তবেই বুঝবেন যে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ কমার দিকে এগোচ্ছেন আপনি। অর্থাৎ ক্যালোরি বার্ন হচ্ছে। তাই শরীর চর্চার সময় হাল্কা পোশাক পরুন।
- ঘাম তাড়াতাড়ি শুকাবে—এমন উপকরণে তৈরি জিমের উপযোগী পোশাক পরা উচিত। কারণ, সুতির পোশাকে ঘাম শুকায় দেরিতে। ফলাফল বারবার পোশাক পরিবর্তন করতে হয়, না হলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- যে ধরনের পোশাক সাধারণত নাইলনজাতীয় ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি হয়। সে ধরণের উপকরণ দিয়ে তৈরি পোশাক ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। কারণ এ ধরণের ফ্যাব্রিকে তৈরি পোশাক শরীরে বাতাস চলাচলে বাধা দেয়। অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। পোশাকের সেলাইয়ে মনোযোগ দিন
- জিম গেলে কিংবা ওয়ার্ক আউট করার সময় স্ট্রেচেবল বা প্রসারণযোগ্য পোশাক পরাই ভাল। এতে শরীর চর্চার সময় বিভিন্ন স্ট্রেচ করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। এমনকি পোশাক সহজে দেহের আয়তনের তুলনায় বেশি ঢিলেঢালা হওয়া যাবে না।
- দৌড়, ভারোত্তলন, ডেড লিফটের জন্য আলাদা ধরনের জুতা পাওয়া যায়। ব্যায়াম অনুযায়ী জুতা পরা ভালো। খেয়াল রাখবেন যেন জুতার নিচের অংশ সমান না হয়।
- সঠিক অন্তর্বাস যেমন স্পোর্টস ব্রা ব্যবহার করুন। জিমে ছোট একটি তোয়ালে সঙ্গে রাখুন।