ত্বকের বার্ধক্য কমাতে ভরসা রাখুন বাকুচিওলে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম
ত্বকের বার্ধক্য কমাতে ভরসা রাখুন বাকুচিওলে
সূত্র: সংগৃহীত

ত্বকের বয়স ধরে রাখতে সবাই চায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের পরিচর্যাও বেড়ে যায়। নিয়মিত ফেসিয়াল, ফেসপ্যাকের ব্যবহার করে ত্বকের বয়স ধরে রাখতে চান। তবে এতে বিভিন্ন প্রসাধনীতে কেমিক্যাল থাকে। যা সবার ত্বকের যত্ন সুরক্ষিত নাও হতে পারে। তাই ত্বকের বার্ধক্য কমাতে কিংবা বয়সকে ধরে রাখতে ভেষজ উপাদানের ওপর ভরসা রাখুন।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ত্বকের বার্ধক্য রুখতে ভেষজ উদ্ভিদ বাকুচিওলের তুলনা হয় না। এটি  বাবচিগাছের পাতা ও বীজ থেকে প্রাপ্ত নির্যাস। যা বহু বছর ধরে ভারতীয় আয়ুর্বেদিক ও চীনা ওষুধে  ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা যায়, ত্বকের বলিরেখা ও হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করতে এটি দারুণ কাজ করে।

২০১৯ সালে দ্য ব্রিটিশ জার্নাল অব ডার্মাটোলজির এক সমীক্ষায় জানা যায়, ত্বকের বলিরেখা ও হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করতে রেটিনল ও বাকুচিওলের কোনো পার্থক্য নেই। বরং এটি রেটিনলের চেয়েও ভালো। রেটিনল ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করতে পারে। বাকুচিওল ব্যবহারে ত্বকে কোনো সমস্যা হবে না। তাই সৌন্দর্যের দুনিয়ায় রেটিনলের বিকল্প বলা যায় বাকুচিওলাকে। যা অনেক বেশি সুরক্ষিত। বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণায় এর প্রমাণ পেয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, বাকুচিওল ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। এটি ত্বকের কালচে ছোপ বা হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করে। ত্বকের কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং কোলাজেন তৈরি করে। যা ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে দেবে। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় ব্রণের সমস্যাও দূর করে। এছাড়াও যেকোনো উপাদানের সঙ্গে ত্বকে বাকুচিওল ব্যবহার করা যাবে।

শুধু তাই নয়, গর্ভাবস্থায়ও বাকুচিওল ব্যবহার নিরাপদ। তাই ত্বকের যত্নে ডার্মাটোলজিস্টরা গর্ভবতী নারীদের বাকুচিওল ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

Link copied!