নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডে ‘জিমি চু শাড়ি’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম
নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডে ‘জিমি চু শাড়ি’
ছবি: সংগৃহীত

বাঙালি নারীদের প্রিয় পোশাক শাড়ি। প্রিয় পোশাক নিয়ে তাদের এক্সপেরিমেন্টের শেষ নেই। পুরোনো শাড়িকে কখনো কখনো নিত্যনতুন আঙ্গিকে ধারণ করেন। আবার কখনো নতুন ফ্যাব্রিকে শাড়ির তকমা লাগান। ফ্যাশনিস্তাদের জন্য এটা নতুন কিছু নয়। সময়ের বদলের সঙ্গে শাড়ির ধরণেরও বদল হয়। কিছু শাড়ি তো নেটদুনিয়া কাপিয়ে বেড়ায়। বিশ্বজুড়ে শাড়িপ্রেমিদের কাছে যা অল্পসময়ের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার ট্রেন্ড উঠেছে জিমি চু শাড়ির। নামটি অপরিচিত হলেও এর ফ্যাব্রিক সর্বজনীন পরিচিত। গরমে আরামদায়ক এবং পার্টি ওয়্যারের জন্য একদম পারফেক্ট। যা সম্প্রতি সময়ে বাঙালি নারীর প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে।

অনেকেই হয়তো জানেন না, জিমি চু শাড়ি কী? এর কারিগরই বা কে ছিলেন? বিখ্যাত ডিজাইনার জিমি চু-কে এক নামে চেনেন ফ্যাশনিস্তারা। তিনি মালায়শিয়ান ডিজাইনার। তবে গ্রেট ব্রিটেনে কাজ করেন। ফ্যাশনে তার অসাধারণ কাজ সারা বিশ্বব্যাপি সুনাম পেয়েছে। জিমি চু সাধারণত ফ্যাশন অ্যাকসেসরিজ নিয়েই কাজ করেন। তার ডিজাইন করা জুতো, ব্যাগ এবং বেল্টও বিশ্ববিখ্যাত। হলিউড সেলিব্রেটিদের কাছেও বেশ প্রিয় জিমি চু।

জিমি চু ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ফ্যাশন অ্যাকসেসরিজ বিক্রি করাই এই সংস্থার কাজ। এই  সংস্থা থেকে শাড়ি ডিজাইন করা হয়। না। তবে জিসি চু শাড়ির নাম কীভাবে এলো? এর রহস্য কী? আসলে নেটপাড়ায় ট্রেন্ডি জিমি চু শাড়িটি জিমি চু-এর ডিজাইন করেননি। বরং এটি বিশেষ এক ধরনের গ্লসি, শাইনি ও হালকা ফ্যাব্রিকের শাড়ি। যার নামকরণ করা হয়েছে জিমি চু শাড়ি।

জিমি চু শাড়িটি সাধারণত টিস্যু এবং অরগ্যাঞ্জা মিশ্রিত এক ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি হয়। যা বেশ  শাইনি হয়। কখনও আবার শুধু অরগ্যাঞ্জা কিংবা টিস্যু সিল্কের উপরে কাজ করেও এই শাড়ি বানানো হয়। ট্রেন্ডিং রংকে গুরুত্ব দিয়েই শাড়ির রং তৈরি হয়। এর বর্ডারে থাকে বিশেষ কারুকার্য। শাড়িজুড়ে থাকে মিরর, জরি কিংবা সুতোর এমবেলিশমেন্ট। ফ্যাশনিস্তরা জানান, এটি কোনো ডিজাইনার শাড়ি নয়। তবুও তা এখন সবার পছন্দের। এর শাইনি ফ্যাব্রিক সহজেই নজর কাড়ে। এই শাড়ি পার্টি ওয়্যারের জন্য উপযুক্ত। এর দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যেই। তাই বাঙালি নারীরা এই শাড়ির একটি হলেও কালেকশনে রাখতে পারেন।

Link copied!