• ঢাকা
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

কিছু শেয়ার করার আগে ভাবুন


ইশতিয়াক হোসেন
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২২, ১০:০৯ পিএম
কিছু শেয়ার করার আগে ভাবুন

আনন্দ ভাগ করলে বাড়ে আবার দুঃখ ভাগ করলে কমে। কোথাও বেড়াতে যাওয়া অথবা মজার কোনও খাবার খেতে যাচ্ছেন। এসব মুহূর্ত পরিবার-বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নিয়ে বেশি আনন্দদায়ক। আবার অন্যের দুঃখে সমব্যথী হওয়াও মন্দ কিছু নয়। বরং এটি আপনার মানবিক গুণাবলীর পরিচায়ক। তবে এমন কিছু বিষয় আছে কখনও অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগী করতে হয় না। যেগুলো নিজের মধ্যে রেখে দেওয়াই ভালো। ব্যক্তিগত কিছু বিষয় গোপন রাখা আপনাকে অযাচিত সমস্যা থেকে বাঁচাবে। যে বিষয় গুলো অন্যের থেকে আড়াল করে রাখা ভালো সেগুলো জেনে নেই।

নিজের সমস্যা অন্যকে না জানানোই ভালো

যখন অন্য কেউ আপনার সমস্যা জেনে ফেলবে তখনই আপনাকে এবং আপনার সমস্যা নিয়ে লোক মুখে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হবে। সকলেরই নিজ নিজ সমস্যা আছে আর সেগুলো নিয়েই তারা ব্যস্ত। আপনার বিষয় নিয়ে চিন্তা করার ফুরসত কারও নেই। আবার এদের মধ্যে অনেককে পাবেনযারা আপনার সমস্যা জটিলতা জেনে পুলকিত হয়। তাইসবচেয়ে ভাল হয়,অন্যের সঙ্গে আপনার সমস্যা ভাগ করার চেয়ে নিজেই সমাধানের পথ বের করে নিন।

আপনার সফলতার গোপন সুত্রকাউকে জানাবেন না

অনেক ঘাত প্রতিঘাত, বাধা বিপত্তি বিফলতার পর সফল জীবনের জাদুর কাঠির সন্ধান পেলেন। এখন এই জাদুর কাঠি অপরের হাতে চলে গেলে লাভের ভাগীদার বেড়ে গেল। মনের প্রশান্তি, চলার পথের স্বাচ্ছন্দেভাটা পরা কে পছন্দ করবে। আবার আপনার সফলতার সুত্র অন্যের জন্য বিফলতার কারণও হতে পারে। সেখানেও আবার বিপত্তি থাকবে।কারন তারা মনে করবে আপনি আসলে তাদের ভুল পথে চালিত করেছেন।

আপনার আয় রোজগার গোপন রাখুন

নিশ্চিতভাবেই আপনার আয় রোজগার অন্যকে জানানো ঠিক হবে না। হয়ত অন্যের চেয়ে আপনার আয় ভালো। আর এই কারণে আপনার প্রতি অন্যের হিংসা জন্মাতে পারে। আবার আয় রোজগার বেশি বলে যদি বন্ধু বান্ধব আত্বীয় স্বজনের আবদার বেড়ে যায় তাহলে মরার উপর খরার ঘা। অন্যদিকে অন্যের আয় যদি আপনার আয় থেকে ভালো হয় তবেও আপনার মধ্যেও  হীন্মন্যতার জন্ম হবে। আয় ব্যয় নিয়ে কোনওজিজ্ঞাসা থাকলে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারওসঙ্গে  আলোচনা করুন। বন্ধু বান্ধব আত্নীয় স্বজনের সঙ্গেনয়।


ঘরের কথা পরে জানা ঠিক নয়

প্রত্যেকটি পরিবারের ছোট বড় সমস্যা আছে। এগুলো নিয়ে আলোচনা করলে সমাধানের চেয়ে বরং পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ বেশি। পারিবারিক বিষয় নিজের মধ্যেই থাকা ভালো। পারিবারিক মুল্যবোধ, ব্যক্তিসত্ত্বা ইত্যাদি বিষয় তখনই প্রতিষ্ঠিত হয় যখন এদের বৈশিষ্ট্যস্থির থাকে। কাজেই কোনওতৃতীয় পক্ষকে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সমস্যার সমাধানের জন্য না জড়ানোই ভালো। 

 

ইচ্ছা,আকাঙ্ক্ষা, অভিলাস, স্বপ্ন অন্যকে জানাবেন না

জীবনের লক্ষ্য উদ্যেশ্য নির্ধারণ করেছেন। এখন সেটা নিয়ে কারও সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে চাচ্ছেন? ভেবে দেখুন লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে আপনি যতই উতফুল্ল, বিপরীতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে হয়ত অনেকে নিরাশ। সুতরাং নানা মুখে নানা কথায় আপনার স্বপ্ন দুস্বপ্নের বিভিষিকায় হবে পরাভুত। কীহবে, কী হবে না সেই চিন্তায় আপনার লক্ষ্য অনিশ্চিত হয়ে যাবে। মনের ভেতর নিজের বিচার বুদ্ধি নিয়ে সন্দেহ দানা বেধে ইচ্ছার মালা আর গাথা হবে না। অন্যরাপারে নি তাই বলে আপনি হাল ছেড়ে দিবেন কেন? পরিশ্রম করুন, লেগে থাকুন একদিন আপনার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।

কাজেই ভেবে দেখুন, বন্ধু মহল, চায়ের দোকান অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেকতটা ব্যক্তিগত বিষয় আদান-প্রদান করবেন। কোনওসমস্যার সম্মুখিন হলে সবচেয়ে ভালো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিন। গবেষণা বলে, নিজের ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করলে সেটার প্রতি আগ্রহওকমে আসে। শেয়ার করা বা কাউকেবলাটাই অনেকটা করার মতোহয়ে যায়।

Link copied!