স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হবে বন্ধুর মতো। বন্ধুকে যে ভাবে সব বলা যায় স্ত্রীকেও বলা যায়। তবে এখানেও ছোট ছোট বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। কিছু কথা না বলাই ভালো যা, আপনার দাম্পত্যে ঝামেলা সৃষ্টি করবে। যেমন-
- বউকে ছোট করে কোন কথা বলবেন না। বিশেষ করে যারা গৃহিণী তাদের কখনও অন্যের সঙ্গে তুলনা করে বলবেন না যে, তোমাকে দিয়ে হবে না বা সে সব সামলাতে পারে তুমি কিছুই করতে পারো না। এধরণের কথায় বউ আঘাত পায়
- যে কারও গোপন কথা তার অনুমতি ছাড়া কাউকেই বলা ঠিক না। এমনকি সে যদি আপনার সহধর্মীনি হয় তাহলেও না। কারণ কারও কথা তাদের অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা উচিত নয়।
- যে কোন বিষয়ে স্ত্রীকে দোষারোপ করা ঠিক না। সারাক্ষণ দোষ ধরে বেড়ালে সম্পর্কের অবনতি হয়।
- নিজের অতীত জীবনের প্রেম বা সম্পর্ক নিয়ে বেশি কথা বলা ঠিক না। আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে সারাক্ষণ অতীতের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে থাকেন তখন তার মনে হতেই পারে আপনি বর্তমান থেকেও অতীত নিয়ে বেশি ভাবেন।
- স্ত্রীর সঙ্গে সব কিছু বলবেন মানে এই না যে অফিসের সব গোপন কথাও শেয়ার করবেন।
- তার পেশাগত দক্ষতা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে সম্পর্কের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
- স্ত্রী কোন কিছু রান্না করে আনলেন আর আপনি বললেন আপনার মায়ের মতো হয় নাই। এটা বলা যাবে না। কারণ আপনার স্ত্রী আলাদা মানুষ আর আপনার মা। ফলে আপনার স্ত্রীর রান্না হুবহো আপনার মায়ের মতো হবে সেটা ভাবা ঠিক না। কিন্তু এভাবে তুলনা করাতে আপনার প্রিয় মানুষটি বিরক্ত হতে পারে। তাই মায়ের সঙ্গে স্ত্রীর রান্নার তুলনা করে কিছু বলবেন না।