চোখের সমস্যা থাকলে নিয়মিত চশমা ব্যবহার করতে হয়। এখন ছোট বয়সেও চোখের সমস্যা দেখা দেয়। সারাক্ষণ টেলিভিশন, মোবাইল ফোন দেখার কারণে বাচ্চাদের চোখে সমস্যা হয়। যার কারণে ছোট বয়স থেকেই চশমা হয়ে যায় নিত্যসঙ্গী। বিশেষজ্ঞরা জানান, যখন দূরের জিনিস যেমন টিভি, বাসের নম্বর, ক্লাসের বোর্ড ইত্যাদি ভালোভাবে দেখা যায় না তখনই বুঝতে হবে আপনার চশমা লাগবে। বই পড়তে, কম্পিউটারে কাজ করতে বা ড্রাইভ করতে অসুবিধা হলেও চশমা লাগে। মাথাব্যথা, চোখের ক্লান্তিতেও চশমার প্রয়োজন হয়।
চশমা না পরলে বাড়ন্ত বাচ্চাদের দৃষ্টির সম্পূর্ণ বিকাশ হবে না। বড়দের ক্ষেত্রে দেখতে অসুবিধা ছাড়াও মাথাব্যাথা, ডবল-ভিশন, চোখের ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেবে।
বড় কিংবা ছোট চশমা যে বয়সেই ব্যবহার করেন না কেন, এটি ব্যবহারের সঙ্গে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। চোখ দিয়ে পৃথিবীর সবকিছুই দেখা যায়। আর চোখের যত্নের জন্য চশমার যত্ন প্রয়োজন। যারা নিয়মিত চশমা পরেন তারা কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন। যেমন_
· চশমা বাছাইয়ের সময় খেয়াল রাখুন যেন আরামদায়ক হয়। আবার আপনার মুখের আকৃতির সঙ্গে যেন মানিয়ে যায়। আয়নায় বারবার নিজেকে দেখুন। কোন চশমায় আপনাকে মানাচ্ছে তা দেখেই কিনুন। আবার স্টাইলিশ চশমা কিনতে গিয়ে আরামের বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না।
· নিয়মিত যে চশমা ব্যবহার করছেন তা যেন মজবুত হয়। শুধু রিডিং গ্লাস হলেও ভালো দেখে কিনুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নির্দিষ্ট পাওয়ারের ভালো মানের চশমা কিনে নিন।
· যারা একদমই চশমা ছাড়া চলতে পারেন না তারা অতিরিক্ত চশমা বানিয়ে রাখবেন। অফিসের ব্যাগে, বাড়িতে অতিরিক্ত চশমা রেখে দিন। একটি খুঁজে না পেলে অন্যটি ব্যবহার করতে পারবেন।
· চশমা কখনো মাথার ওপর তুলে আটকে রাখবেন না। এতে চশমা দ্রুত আলগা হয়ে যাবে। পরে আরাম পাবেন না।
· অনেকেরই চশমা ভেঙে ফেলার প্রবণতা রয়েছে। আবার কোথায় রেখেছেন তাও ভুলে যান। তাই যখনই চশমা খুলবেন নির্দিষ্ট বক্সে রাখুন। এতে চশমা খুঁজে পেতে সুবিধে হবে। ভেঙেও যাবে না।
· প্রতিদিন চশমা পরিষ্কার করুন। পরিষ্কার পানি ও তরল সাবান দিয়ে চশমা ধুয়ে নিতে পারেন। এরপর একটি নরম কাপড় দিয়ে চশমার লেন্স ভালোভাবে মুছে নিন।