কাজের চাপে অনেকসময় সেলুনে যাওয়ার সময় হয় না। তাই দাড়ি ছাট দিতে ট্রিমারেই ভরসা রাখেন অনেকে। বাজারে তো বিভিন্ন মানের এবং দামের ট্রিমার পাওয়া যায়। কেনার আগে কোন কোন বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন?
ব্যাটারি কেমন
কোকো বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার প্রাথমিক শর্ত হল তার ব্যাটারির আয়ুষ্কাল কেমন, তা দেখে নেওয়া। বাক্সের গায়ে সে সব তথ্য বিস্তারিত লেখা থাকে। তবু ট্রিমার কেনার আগে দেখে নিতে হবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হয় কি না। একবার চার্জ দিলে খুব কম করে হলেও সপ্তাহখানেক ট্রিমারে চার্জ থাকার কথা। কেনার সময় তা বোঝা না গেলেও মোটামুটি ভালো সংস্থার ট্রিমার একবার চার্জ দিলে একটানা অন্তত ৮০ মিনিট পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
ব্লেড
ট্রিমারের মস্তিষ্ক যদি ব্যাটারি হয়, তা হলে ব্লেড হচ্ছে ট্রিমারের মেরুদণ্ড। তাই অনলাইন বা অফলাইন— যখনই ট্রিমার কিনুন না কেন, ব্লেড সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। দাড়ির ঘনত্ব অনুযায়ী ব্লেডেরও বিভিন্ন ধরন হয়। সে বিষয়ে আগে থেকে একটু জেনে রাখা প্রয়োজন। এ ছাড়া আরও দুটি বিষয় দেখে নিতে হবে। প্রথমত, ব্লেডে মরচে পড়ে কি না। কারণ, স্টিল বা দামি টাইটানিয়ামের ব্লেড হলেও অনেক সময়ে মরচে পড়ে। সুতরাং, সে বিষয়ে আগে থেকে সচেতন থাকতে হবে। কেনার আগে দেখে নিতে হবে ওয়ারেন্টির সময়সীমা।
দ্বিতীয়ত, অনেক ট্রিমারের ব্লেড নিজে থেকেই ধারালো হয়ে যায়। যে সংস্থার ট্রিমার কিনছেন সেটিতেও এমন সুবিধা রয়েছে কি না, দেখে নিতে হবে। তাতে ট্রিমার যেমন দীর্ঘদিন ভালো থাকবে, তেমন ব্যবহার করার সময়ে আঘাত লাগার আশঙ্কাও থাকবে না।
কর্ডলেস কি না
ব্যবহারের সুবিধা থাকলেও অনেকেই মনে করেন, কর্ড দেওয়া যন্ত্রের আয়ুষ্কাল কর্ডবিহীন যন্ত্রের চেয়ে বেশি। সে কথা যে একেবারে ভুল, তা নয়। তবে দাড়ি কাটার সময়ে হঠাৎ লোডশেডিং হলে কিন্তু বিপদে পড়বেন। আবার, স্নানঘরে আয়নার ধারপাশে সুইচবোর্ড না থাকলেও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। তার চেয়ে বরং একটু বেশি দাম দিয়ে ব্যাটারি এবং বিদ্যুৎ দুধরনের সুবিধা রয়েছে, এমন ট্রিমার কেনাই ভাল।
দাম
ভালো জিনিস কিনতে গেলে একটু বেশি খরচ হবেই। তা হোক কিন্তু ট্রিমার কেনার আগে যে যে সুবিধা চাইছেন, সবটা পূরণ হচ্ছে কি না, ভালো করে যাচাই করে নেবেন। অনলাইন বিভিন্ন সাইটে একই জিনিসের দামের হেরফের হতে পারে। কেনার আগে বিশ্বাসযোগ্য সব সাইটে ঢুঁ মেরে নিতে পারেন।