শীতে ঠোঁটে আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য অনেক বেশি যত্ন নিতে হয়। কারণ শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় ঠোঁট অনেক বেশি পাতলা ও সংবেদনশীল। তাই এই রুক্ষ সময়টাতে ঠোঁটের যত্নে কয়েকটি কাজ অবশ্যই করার চেষ্টা করুন। আর সেগুলো হলো-
ময়েশ্চারাইজ করা
নিয়মিত ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করার জন্য কয়েকবার করে লিপবাম লাগাতে হবে। ঘন ঘন ঠোঁট ফাটার থেকে রক্ষা পেতে গোলাপজল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগান।
ঠোঁটে ঘন ঘন জিভ লাগাবেন না, তাহলে ঠোঁটের পাতলা মেমব্রেনের পিএইচ লেভেলে ভারসাম্য বজায় থাকবে না। এতে দ্রুত ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। লিপস্টিক লাগানোর ১৫ মিনিট আগে লিপবাম লাগিয়ে নিন। তাহলে ঠোঁটের ময়েশ্চার ও লিপস্টিকের স্থায়ীত্ব বাড়বে।
ক্লিনজিং জেল
মুখের মতো ঠোঁটের মেকআপও তুলে ফেলা জরুরি। প্রতি রাতে ক্লিনজিং জেল দিয়ে লিপস্টিক তুলুন। অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ ক্লিনজিং জেল ব্যবহার করতে পারলে ভালো। ক্লিনজিং জেল ব্যবহারে ঠোঁটের ত্বক যেমন নরম থাকে তেমনি মেকআপ পুরোপুরি তুলে ফেলে। তাছাড়া অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
আমন্ড ক্রিম
ঠোঁটের মেকআপ তোলার পর আমন্ড ক্রিম লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। এর নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের কালো ভাব দূর হয়ে যাবে। নিয়মিত আমন্ড অয়েল বা দুধের সর লাগালে ঠোঁটের রঙ উজ্জ্বল হয়।
গোলাপের পাপড়ি
গোলাপের পাপড়ি পেস্ট করে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট নরম ও গোলাপি হবে। নরম ঠোঁট পেতে রাতে শোওয়ার সময় নারকেল তেল, চন্দন বাটা ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। সকালে উঠে আবার ধুয়ে ফেলুন।
লিপগ্লস
কোথাও ঘুরতে বের হলে ঠোঁটে লিপগ্লস লাগিয়ে নিতে পারেন। চাইলে শুধু ব্রাইট লিপগ্লসও ব্যবহার করতে পারেন। গমরঙের বা ডার্ক স্কিন টোনে নিয়ন পিংক বা লাইট মভের মতো রঙও ব্যবহার করতে পারেন।
ফাউন্ডেশন
ঠোঁট মসৃণ না হলে লিপ কালার লাগানোর আগে সামান্য ফাউন্ডেশন লাগান। শুধু ফাউন্ডেশনে ঠোঁট শুষ্ক মনে হতে পারে, তাই ফাউন্ডেশনের ওপর সামান্য লিপ বাম লাগান। ফাউন্ডেশন অনেক সময় লিপ কালারের রং হালকা করে দেয়, তাই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে মানানসই লিপ কালার নিতে হবে।
লিপ লাইনার
যে রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করছেন সেই রঙের লিপ লাইনার ব্যবহার করুন। ন্যুড শেডের লিপ লাইনারও ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটের শেপ বড় দেখাতে চাইলে লিপ লাইনার ভালো কাজ করবে। আবার ঠোঁট পাতলা হলে লাইনার দিয়ে ঠোঁটের শেপ ঠিক করতে পারেন।
সরু ও পাতলা ঠোঁটে আউটলাইনের জন্য ঠোঁটের ভেতরের দিকে হালকা টোনের লিপ কালার লাগান। বাইরের অংশ আউটলাইন করতে ডার্ক কালার ব্যবহার করুন। তারপর ভালো করে দুই ধরনের কালার ব্লেন্ড করুন। ক্রিমসমৃদ্ধ গ্লসি কালার বেছে নিতে পারেন।