উৎসব মানেই খাওয়-দাওয়া আনন্দ করা। আর সেই উৎসব যদি হয় ঈদ তাহলে ত কথায় নাই। খাওয়া-দাওয়ার সাথে ঘুরাঘুরি ও বাহারি পোশাকের সমাহার। তবে রমজান মাসে যেহেতু ভিন্ন এক রুটিনে মানুষ অভ্যস্থ হয় তাই দীর্ঘ এক মাসের রুটিন বদলে হুট করে নানা রকম ভারী খাবার খাওয়া অস্বাস্থকর হয়। আবার যেহেতু এবারের
ঈদ হচ্ছে চৈত্রের শেষ সপ্তাহে। তাই গরমও একটু বেশি। ফলে ভুলে যাওয়া চলবে না, একেবারে লাগামহীন খাওয়াদাওয়া আর গরম আবহাওয়ায় অসতর্ক ঘোরাঘুরিতে হুট করেই মাটি হয়ে যেতে পারে ঈদের আনন্দ।
খাবারে সতর্কতা
এক মাস একধরনের খাদ্যাভাসের সাথে মানুষ পরিচিত হয়। হুট করেই ঈদের দিন অতিরিক্ত তেল-ঝাল খাবার আপনার স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই কম তেল ও কম মসলায় রান্না করা খাবার দিয়েই শুরু হতে পারে ঈদের দিনের খাবার দাবার। এছাড়া শরবত বা নানান রকম পানীয় বানাতে পারেন ঘরেই। সেক্ষেত্রে ফলের স্মুদি খুবই স্বাস্থ্যকর পানীয়। অতিথি আপ্যায়নেও স্মুদি দারুণ এক উপকরণ। তাছারা জিরাপানি খেতে পারেন, যা বদ হজম দূর করবে। অবশ্যই কোমল পানীয়, প্যাকেটজাত পানীয় বা প্যাকেটজাত গুঁড়া দিয়ে তৈরি পানীয় এড়িয়ে চলুন। একবারে অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। খাবার খাওয়ার সময় পানি খাবেন না। খাবার খাওয়ার ১৫–২০ মিনিট পর পানি বা পানীয় খাবেন। খাওয়ার আগে পানি বা পানীয় খেতে চাইলে সেটিও ১৫-২০ মিনিট আগে। অতিরিক্ত রোদে বেড়াতে গেলে সঙ্গে পানি বা পানীয় নিন।
পোশাক বাছাই
ঈদের দিন আরামদায়ক পোশাক পরুন। এমন কাপড় বেছে নিন, যার মধ্য দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে। এমন রঙের পোষাক পড়ুন যেটা তাপ কম শোষণ করে। শিশুদের জন্য বাড়তি যত্ন নিন। শিশুরা রঙিন পোষাক পছন্দ করে তাই তাদের পছন্দের প্রতি খেয়াল রেখে এমন কাপর বাছাই করুন যাতে তারা স্বস্থিতে থাকতে পারে। বাছাইয়ে ভারী মেকআপ ও গয়না পরিবর্তে হালকা মেকাপ ও গয়না বেছে নিতে পারেন, তাতেই স্বস্তিতে থাকবেন। অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই বাইরে গেলে ছাতা ব্যবহার করুন। তাছাড়া ত্বককে সজীব রাখতে সানস্ক্রিন ও চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।