কোন গোলযোগ দমনে কাঁদানে গ্যাস বা টিয়ার শেলের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। এটি রাসায়নিক অস্ত্র তবে প্রাণঘাতী নয়। এর প্রভাবে মৃত্যু না হলেও তাৎক্ষনিক কিছু সমস্যা হয়। যেমন- ত্বক ও মুখে জ্বালাপোড়া, শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ার মতো সমস্যা হয়। তবে যাদের শ্বাস কষ্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ কাঁদানে গ্যাস। যদিও টিয়ার শেল ব্যবহারের একটা সীমা আছে তারপরও কোন কারণে এর আঘাত সরাসরি চোখে বা অন্য কোন অঙ্গে পড়লে সেই অঙ্গের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। তার উদাহরণ শাহাবাগে এক আন্দোলনে তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থীর চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
টিয়ার শেলের ধোঁয়া থেকে বাঁচতে করণীয়
- আপনি যদি শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে কাঁদানে গ্যাসে আক্রান্ত এলাকা থেকে দূরে থাকতে হবে।
- টিয়ার শেলে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা মনে হলে গ্যাস মাস্ক এবং চোখের প্রটেক্টিং গগলস (চশমা) সঙ্গে রাখুন। দরকারে পরে ফেলতে পারবেন।
- টিয়ার শেলের ধোঁয়া থেকে বাঁচতে কাপড় দিয়ে মুখ, নাক ও চোখ বেঁধে রাখতে পারেন। বাতাস যে দিকে তার উলটো দিকে থাকতে হবে। এতে কিছুটা সুরুক্ষিত থাকতে পারবেন।
- কাঁদানে গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারী। যার কারণে এর প্রভাব নিচের দিকেই বেশি। তাই এই গ্যাসে আক্রান্ত এলাকায় নিচে না বসে দ্রুত উঁচু জায়গায় অবস্থান নিন।
- কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া পোশাকে লেগে থাকে তাই আক্রান্ত হলে পোশাক বদলে নিতে হবে। পোশাকটি পরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। নয়ত পরেও ত্বকে অস্বস্তি হবে।
- টিয়ার শেলে আক্রান্ত হলে চোখ বা শরীরের আক্রান্ত অংশ ঘষবেন না, যত দ্রুত সম্ভব ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- যদি চোখে কন্টাক্ট লেন্স থাকে তাহলে দ্রুত খুলে ফেলতে হবে।