নারী-পুরুষ উভয়েই এখন কাজ করছেন। কাজের তাগিদে বেশিরভাগ সময়ই বাইরে থাকতে হয়। এরমধ্যেই বাইরে দুপুরের খাবার সেরে নিচ্ছেন। আবার বাইরের খাবার কিনে বাসায় খাচ্ছেন। প্রতিদিন রান্নায় এতো সময় ব্যয় করতে নারাজ অনেকে। কেউ কেউ আবার প্যাকেটজাত খাবার কিনে এনে অল্প সময়েই রান্না সেরে নিচ্ছেন।
জীবনকে সহজ করতে এখন প্রায় অধিকাংশ খাবারই প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। ক্রেতা এসব খাবার কিনে সহজেই রান্না করে খেতে পারেন। আবার রেডিমেড খাবারও বিক্রি হয়। যা প্যাকেট খুললেই খাওয়ার উপযোগী হয়। এমন খাবার খাওয়ার আগে কখনও কি দেখেছেন, সেই খাবারের কী কী উপাদান রয়েছে বা এর গুণগত মান কী রকম।
সাধারণত সব প্যাকেটজাত খাবারের গায়েই বিশদ বিবরণ দেওয়া থাকে। যেখানে দেওয়া থাকে সব তথ্য়। ক্রেতাদের সুবিধার্থে এসব তথ্য দেওয়া হয়। যেখান থেকে ক্রেতারা খাবারের সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন এসব তথ্য না পরেই প্যাকেটের খাবার কিনছেন এবং খেয়েও নিচ্ছেন। যা থেকে মহাবিপদ ঘটতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যাকেটের খাবার কেনার আগে অবশ্যই লেখা তথ্য পড়ে নেওয়া উচিত। এরপরই তা খাওয়া উচিত। কারণ ফুড লেবেলে এর বিস্তারিত তথ্য থাকে। যা খাবারের গুণগত মান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা দেয়।
সাধারণত খাবারের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদকের নাম ও ঠিকানা, খাবারের নাম, খাবারের পুষ্টিগুণ, খাবারে উপস্থিত উপাদান, খাবারের উৎপাদন তারিখ অর্থাৎ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের তারিখ, খাবার সংরক্ষণের উপায়, খাবারের মেয়াদ, আমদানি করা খাবার হলে আমদানিকারীর সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা, যে দেশে তৈরি হয়েছে তার নাম এবং খাবারের উৎপাদক সংস্থার আইনি তথ্যসহ যাবতীয় তথ্য দেওয়া থাকে। যা ক্রেতাকে খাবারটি ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেয়। খাবারের গুণমান ও ধরন সম্পর্কে জানিয়ে দেয়। তাই এসব তথ্য পড়েই প্যাকেটজাত খাবার কেনা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্যাকেটের খাবার কেনার আগে যেসব তথ্য অবশ্যই পড়তে হবে_
• খাবারের উপাদান কবে তা প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে। পড়ে নিন। প্য়াকেট করা খাবারে প্রিজারভেটিভ থাকে। যার পরিমাণ জেনে নেওয়া জরুরি।
• খাবার উৎপাদনের তারিখও অবশ্যই পড়ে কিনুন। খাবারটি কত আগে তৈরি হয়েছে তা জানা যায়। বেশি পুরোনো খাবার না কেনাই ভালো।
• খাবারে কতদিন মেয়াদ দেওয়া আছে দেখে নিন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা খেতে হবে। তাই এটি জেনে নেওয়া জরুরি।
• খাবার সংরক্ষণের উপায়ও প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে। তা পড়ে নিন। সেভাবেই খাবারটি সংরক্ষণ করুন। নয়তো তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
• খাবারের পুষ্টিগুণ দেখে কিনুন। আপনি কী ধরণের খাবার খান বা আপনার জন্য কোন পুষ্টি বেশি প্রয়োজন তা খাবারের গায়ে রয়েছে কিনা দেখে নিন। অর্থাৎ কতটা ফ্যাট, কার্ব ও প্রোটিন শরীরে যাচ্ছে তা জেনে নিন। এতে আপনার ডায়েট ঠিক রাখতে সহজ হবে।
সূত্র: এবিপি নিউজ