• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

যে ট্রেনে বিনা পয়সায় ঘোরা যায় সাহারা মরুভূমি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
যে ট্রেনে বিনা পয়সায় ঘোরা যায় সাহারা মরুভূমি
ছবি : সংগৃহীত

সাহারা মরুভূমি আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে পড়েছে। এই মরুভূমি পাড়ি দেওয়া সহজ কথা না, তবে অসম্ভবও নয়। কারণ এই মরুভূমি বুক চিরে বয়ে চলেছে একটি রেলপথ। দেখে মনে হবে যেন এক বিশালাকার অজগর সাপ। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ট্রেনে চড়ে বিনা টিকেটে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারেন সেখানকার লোকজন। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম ট্রেন মরিশানিয়া এক্সপ্রেস।

ট্রেনটিতে চড়ে এক টিকিটেই গোটা সাহারা ঘুরে বেড়াতে পারবেন যে কেউ। কারণ এই ট্রেন চলে বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ সাহারা মরুভূমির মধ্যে দিয়ে। তবে এই ট্রেনটি যাত্রিবাহী ট্রেন নয়, মালবাহী।

বিশাল সাহারা মরুভূমির একটা বড় অংশ পড়েছে এই মরিশানিয়া দেশে। দেশটি বড় হলেও জনসংখ্যা খুব কম। ১৯৬৩ সালে মরিশানিয়ার দ্বিতীয় বন্দর শহর নুয়াধিবৌর লৌহ খনি থেকে লোহা নিয়ে সাহারা পাড়ি দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এই ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় ১৬ হাজার টন আকরিক লোহা পরিবহণ করে মরিশানিয়ান এক্সপ্রেস। আর আকরিক লোহা বা অন্যান্য পণ্য বহন করার পাশাপাশি এই ট্রেনটিতে উঠে পড়েন মরিশানিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে আধুনিক মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ট্রেন। মরিশানিয়ার জুনাব থেকে নুয়াধিবৌর বন্দর শহরে পৌঁছতে ৭০৬ কিমি পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে ২০ ঘণ্টা।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০০৯ সালের দিকে ট্রেনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরে তা পুনরায় চালু করা হয় এবং ২০১৯ সাল থেকে মরিশানিয়ান রেলওয়ে ভ্রমণকারীদের এই ট্রেনে ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছে। ভ্রমণার্থীদের জন্য দু’টি কামরা সংযুক্ত করা হয়েছে এবং তারা একটি লোহার খনিও ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন এমনটাই জানা গেছে। তবে এর পরিষেবা পেতে কাটতে হবে টিকিট।

সাহারার স্থানীয়েরা চলন্ত মরিশানিয়ান এক্সপ্রেসে ওঠেন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য। এ জন্য অবশ্য যাত্রীদের কোন টিকিট বা অর্থ দিতে হয় না।

Link copied!