• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রেগে না গিয়ে ক্ষমা করার যে সওয়াব


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
রেগে না গিয়ে ক্ষমা করার যে সওয়াব
ছবি: সংগৃহীত

রাগ মানুষের চরিত্রের নেতিবাচক দিক। রাগের বশে মানুষ ভুল পথে যেতে পারে। কোনো অন্যায় কাজেও জড়াতে পারে। আবার রাগের সময় এমন কোনো অন্যায় কাজ করে বসে যা তার জন্যও খারাপ হতে পারে। পরে আফসোস করলেও কিছু করার থাকে না। তাই পবিত্র কোরআনে রাগ বা ক্রোধ সংবরণ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কারো উপর রাগ না করে বরং ক্ষমা করে দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে পবিত্র কোরআন মজিদে।

পবিত্র কোরআনে উল্লেখ রয়েছে, ‘তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের রবের ক্ষমার দিকে এবং সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি হচ্ছে আসমানসমূহ ও জমিনের সমান, যা তৈরি করা হয়েছে মুত্তাকিদের জন্য; যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় আল্লাহর পথে ব্যয় করে, ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে, আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন। (সুরা আলে ইমরান: ১৩৩, ১৩৪)

মুমিনদের গুণ বর্ণনা করতে গিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়, ‘আর যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন রাগান্বিত হয় তখন ক্ষমা করে দেয়। (সুরা শুরা: ৩৭)

অন্যকে ক্ষমা করার বিষয়ে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, “ক্ষমাশীলতা অবলম্বন কর, সত্য-সঠিক কাজের আদেশ দাও আর মূর্খদের এড়িয়ে চল। আর যদি শয়তানের পক্ষ হতে কোন প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত কর, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় চাও। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।“ (সুরা আরাফ, ১৯৯, ২০০)

নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাগের সময় ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ-শাইতানির-রাজিম’ পড়ে বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি: ৩২৮২, সহিহ মুসলিম: ২৬১০)

এছাড়াও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে,  রাসুল (সা.) রাগের সময় অজু করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, রাগ আসে শয়তান থেকে, আর শয়তানকে সৃষ্টি করা হয়েছে আগুন থেকে। আগুন পানি দিয়ে নেভাতে হয়, তাই রেগে গেলে তোমরা অজু করো। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৮৬)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন কোরো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। ’ (মুসনাদে আহমদ: ৪৭৮৬)

এছাড়াও রাগ নিয়ন্ত্রণ করে অন্যকে ক্ষমা করে দিলে কেয়ামতের দিন সবার সামনে ডেকে সম্মানিত করা হবে বলেও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। হাদিসে বলা হয়, যে ব্যক্তি রাগের সময় ক্ষমতা থাকার পরও নিজেকে সংযত করে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাকে সবার সামনে ডেকে বিশেষভাবে সম্মানিত করবেন। (সুনানে আবু দাউদ)

Link copied!