বিয়ে দুটি মানুষের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করে। বৈধ চুক্তির মাধ্যমে সারাজীবন একসঙ্গে থাকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার মানই বিয়ে। একেক দেশে বিয়ের রীতি একেক রকম। তবে সব স্থানেই বিয়ের মূলমন্ত্রে রয়েছে দুজন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও যৌন সম্পর্কের বৈধতা।
বিয়ে সামাজিক রীতি, তাই কমবেশি সবাইকেই বিয়ে করতেই হয়। কেউ একবার বিয়ে করেই সারাজীবন কাটিয়ে দেন। কেউ আবার একাধিক বিয়েও করেন। তবে বিয়েকে শখ বানিয়ে যদি বারবার বিয়ে করেন কেউ, তাহলে খবরের শিরোনামে তো আসবেই।
বিয়ে যে কারো শখ হতে পারে তারই প্রমাণ দিয়েছেন গ্লিন উলফ। শখের বশেই তিনি বারবার বিয়ে করেছেন। এমনকি সর্বোচ্চ সংখ্যক বিয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।
গ্লিন উলফের পুরো নাম গ্লিন ডেমোস উলফ। যার জন্ম ২৫ জুলাই ১৯০৪। তিনি আমেরিকান ব্যাপটিস্ট মন্ত্রী এবং হোটেল মালিক ছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ব্লাইথেতে বসবাস করতেন।
জানা যায়, জীবনে ৩১ বার বিয়ে করেন গ্লিন উলফ। তিনি সব পেশার নারীকেই বিয়ে করার রেকর্ড গড়েছিলেন। তার ২৯ জন স্ত্রী ছিল। তার কোনো কোনো বিয়ে কয়েক বছর টিকে ছিল। আবার কোনো বিয়ে কয়েক মাস এবং কোনো বিয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভেঙে যায়।
১৯২৬ সাল থেকে গ্লিন উলফের বিয়ের যাত্রা শুরু হয়। মাত্র ২২ বছর বয়সেই হাই স্কুলের ছাত্রী হেলেনাকে বিয়ে করেন। কয়েক মাস পরেই তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর মার্জোরিকে বিয়ে করেন গ্লিন। সেই বিয়েও কয়েক মাস পরই ভেঙে যায়। এরপর মার্গিকে বিয়ে করেন। সেই বিয়েও বেশিদিন টিকে নি। নিজের বান্ধবী মিলড্রেডকেও বিয়ে করেন গ্লিন। এভাবেই শখের বিয়ে চলতেই থাকে তার।
গ্লিনের ২৯টি স্ত্রী ছিল এবং ১৯ জন সন্তানের জনক ছিলেন। বহুবিবাহ করলেও শেষ জীবনে নিঃসঙ্গই ছিলেন গ্লিন। তার সন্তান ৩৩ বছর বয়সী জন উলফ তাকে সমাধিস্থ করেন। আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
জানা যায়, গ্লিনের ২৮তম স্ত্রী ছিলেন ক্রিস্টিন ক্যামাচো। যার সঙ্গে গ্লিন ১১ বছর সংসার করেছিলেন। আর সেটিই ছিল গ্লিনের সংসার জীবনের সবচেয়ে বেশি সময়কাল।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড