ঘড়ি ব্যবহারে অনেকেই শৌখিন। এক সময় ঘড়ি পরা হতো প্রয়োজনে। আর এখন বেশিরভাগ সময়ই ঘড়ির ব্যবহার হয় শখে। অনেকেরই ঘড়ির কালেকশন রাখার শখ রয়েছে। নতুন নতুন ঘড়ি হাতে পরা যেন তাদের নেশা। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ঘড়ি পাল্টে নেওয়া তাদের ফ্যাশন। তবে ঘড়ির চাহিদা সবার কাছে আগের মতো নেই। তবুও যাদের ঘড়ির শখ রয়েছে তাদের কাছে মূল্যায়নটা বরাবরই অন্যরকম। তাদের ওয়্যারড্রব খুললেই পাওয়া যাবে নতুন বা ইউনিক সব ঘড়ির কালেকশন।
যাদের ঘড়ি পরার এমন শখ রয়েছে কিংবা যাদের ইউনিক ঘড়ি দেখলেই চোখ আটকে যায় তাদের জন্য দামি এক ঘড়ির সন্ধান দিব। হিরা, রত্ন বসানো ঘড়ি আগেও দেখেছেন অনেকে। কিন্তু হিরে রত্ন বসানো ঘড়ি দাম শুনে এবার চমকে যাবেন। কেননা বিশ্বের সবচেয়ে দামি হাতঘড়ির সন্ধান মিলেছে। ঘড়িটির দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০৩ কোটি টাকারও বেশি।
বিলাসবহুল এই ঘড়িটি সুইজারল্যান্ডের। দেশটির অন্যতম ঘড়ি নির্মাতা প্যাটেক ফিলিপ। ‘প্যাটেক ফিলিপ গ্র্যান্ডমাস্টার চাইম রেফারেন্স ৬৩০০এ-০১০’ ঘড়িটির নিলাম করে। যেখানে বিপুল দাম উঠে।
২০১৪ সালে লন্ডনের বিখ্যাত গ্রফ ডায়মন্ডস জুয়েলারি হিরা ও বহুমূল্য রত্ন বসানো এই ঘড়িটি তৈরি করে। যার নাম দেওয়া হয় গ্রাফ ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন। ঘড়িটিতে ১১০ ক্যারাটের নানা রঙের হিরা বসানো আছে। এর ডায়ালে বসানো আছে একটি পেল্লায় হিরা। বাহারি রঙের হিরা এবং তাদের নিখুঁত নকশা ঘড়িটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। হ্যালুসিনেশন এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি। এই ঘড়ি তৈরিতে মোট ৩০ জন অভিজ্ঞ ডিজাইনার, জেমোলজিস্ট, জহুরি মিলে কাজ করেছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দামি ঘড়ির তকমা পেয়েছিল সুইস কোম্পানি প্যাটেক ফিলিপের একটি ঘড়ি। যার মূল্য ছিল ৫৫ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম ৪৫৬ কোটি টাকা। সেই ঘড়িকেও হারিয়ে দিয়েছে গ্রাফ ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন।