কেন পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবতী এই নারী!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম
কেন পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবতী এই নারী!
সূত্র: সংগৃহীত

ভাগ্যের বশে পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটে। ভাগ্য যখন সবসময় কারো সঙ্গী হয় তখন তাকে বলা হয় ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী। সেসব ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতীর দিকেই যেন সবার নজর থাকে। এমনকি কেউ কেউ ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়। যেমনটা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়েছেন ভায়োলেট জেসপ। কারণ তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবতী নারী।

ভায়োলেট জেসপকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান নারী বলা হয়। কারণ টাইটানিক জাহাজে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন এই নারী। শুধু তাই নয়, আরও দুটি জাহাজডুবির ঘটনা থেকেও প্রাণে বেঁচে যান।

১৯০৮ সালে হোয়াইট স্টার লাইন কোম্পানিতে সেবিকা হিসেবে যোগ দেন জেসপ। ১৯১০ সালে ওই কোম্পানির জাহাজ এইচএমএস অলিম্পিকে কাজ শুরু করেন। ১৯১১ সালে অন্য একটি জাহাজের সঙ্গে অলিম্পিকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুইটি জাহাজই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ সেই যাত্রায় অক্ষত থাকেন জেসপ।

পরের বছর সেই সময়ের সবচেয়ে বড় জাহাজ টাইটানিকে সেবিকার দায়িত্ব পান জেসপ। একটি বিশালাকার বরফশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে টাইটানিকের করুণ পরিণতি হয়। সেখানে প্রায় দেড় সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারান। কিন্তু ওই ঘটনায়ও বেঁচে গিয়েছিলেন জেসপ।

জাহাজ ডুবির এমন বিভীষিকার স্মৃতি পরও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আহত সৈনিকদের সেবা করতে  ‘ব্রিটানিক’ জাহাজে সেবিকা হিসেবে কাজ শুরু করেন জেসপ। ১৯১৬ সালের ১৯ নভেম্বর জার্মানির যুদ্ধজাহাজ ইউ-বোট’র আক্রমণে ব্রিটানিকের তলদেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং ডুবে যেতে থাকে। জাহাজের তলার একটি অংশ ধরে অলৌকিকভাবে সেই ঘটনায় বেঁচে ফিরেন জেসপ।

পরবর্তী সময়ে ‘দ্য আনসিঙ্কেবল লেডি’ খেতাব দেওয়া হয় জেসপকে। ভাগ্যবতী এই নারী দুর্ঘটনার কবল থেকে বেঁচে ফিরেছেন কয়েকবার। তার জীবনে মৃত্যু আসে ১৯৭১ সালে ৮৪ বছর বয়সে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই অবশেষে তার মৃত্যু হয়।

Link copied!