নদী-নালা কিংবা জঙ্গলের ঝোঁপঝারে প্রায়ই সাপের দেখা মেলে। মাঝে মাঝে সাপের বিচরণ বাড়িতেও থাকে। বাড়ির আশপাশে ঝোঁপ থাকলে সেখানে বাসা বাধঁতে পারে সাপ। যা হঠাত্ লোকালয়ে চলে আসে কিংবা ঘরের ভেতরও ঢুকে যায়। মানুষের সামনে পড়লে সাপ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। ছোবল দেয় এবং মানুষের প্রাণহানিরও ঘটনা ঘটে।
কিন্তু জানেন কি, পৃথিবীতে যত প্রজাতির সাপ রয়েছে, তার মধ্যে মাত্র কয়েকটিই বিষাক্ত। একটি সাপ তখনই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, যখন কেউ তাকে উস্কে দেয় বা আঘাত করে।
সাধারণত বিষাক্ত সাপ হিসেবে গোখরো, কেউটে, চন্দ্রবোড়া, কালাচসহ একাধিক সাপ রয়েছে। আবার একাধিক বিষমুক্ত সাপও রয়েছে। এসব বিষমুক্ত সাপই বেশিরভাগ সময় ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে থাক। আবার বিষাক্ত সাপও ঘরে প্রবেশ করতে পারে। তবে তা খুবই কম। সাপ বিষাক্ত না বিষমুক্ত তা জানার উপায় তো থাকে না। তাই সাপ দেখলেই আতঙ্কিত না হওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাপ দেখলে প্রথমেই কিছু কাজ করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু পদক্ষেপে সাপ থেকে আপনাকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। প্রথমেই শান্ত থাকতে হবে। সাপের খুব কাছে যাওয়া যাবে না। এতে সাপ মনে করবে, আপনি তাকে আঘাত করবেন। এর আগেই সাপ আপনাকে ছোবল দিতে পারে। তাই সাপকে হত্যা, ধরা বা ক্ষতি করার চেষ্টা করেন, তবে আপনারই বিপদ হবে।
অধিকাংশ সময়ই সাপ খাবারের সন্ধানেই ঘরে প্রবেশ করে। মানুষ সাপকে আঘাত করলেই তা প্রতিরক্ষায় ছোবল দেয়। তাই সাপ ঘরে প্রবেশ মানেই এটা নয় যে সে কামড়াতে বা ছোবল দিতেই এসেছে। খাবারের সন্ধানে তারা ঘরে আনাচে কানাচে ছুটে বেড়াতে পারে।
স্থানীয় বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ফোন নম্বর আগেই ব্যবস্থা করে রাখুন। সাপ ঘরে প্রবেশ করলে বা বাড়ির আশেপাশে সাপের উপদ্রব বাড়লে ছবি কিংবা ভিডিও করে বন দপ্তরে পাঠিয়ে নিন। নিজের ঠিকানা, জিপিএস লোকেশন শেয়ার করুন। বন দপ্তর থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, অ্যামোনিয়ার গন্ধ পেলে সাপ পালিয়ে যায়। সাপ উচ্চ শব্দ হলেও খুব ভয় পায়। গবেষণায় উঠে এসেছে, সাপ শুধুমাত্র শ্রবণ ক্ষমতার মাধ্যমেই খাবার খুঁজে পায়। তাই কোনোভাবেই সাপকে আঘাত করতে যাবেন না। খাবার না পেয়ে হয়তো সাপটি ঘর থেকে বেরিয়ে যাবে।