ঘরকে মনের মতো সাজাতে সবাই পছন্দ করে। ঘরের সাজ দীর্ঘদিন একইরকম থাকলে তা একঘেয়েমি মনে হয়। তাই ঘরের সাজে বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন। বৈচিত্র্য আনতে নজর দিতে হবে ঘরের প্রতিটি জিনিসের উপর। বিশেষ করে দেয়ালের সাজসজ্জায়। দেয়ালের সাজসজ্জায় পরিবর্তন আনলেই ঘরের লুকটাই বদলে যাবে।
যেকোনো বাড়িতে বেড়াতে গেলেই দেয়ালে নজর আটকে যায়। দেয়ালের রং মনটাই ভরিয়ে দেয়। উজ্জ্বল রং ঘরকে উজ্জ্বল করে। আর সেই উজ্জ্বল দেয়ালে আরও সাজসজ্জা করলে তো ঘরের ভোলই বদলে যায়। তাই ঘরের দেয়ালকে সাজাতে প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়েই মনোযোগী হতে হবে। বেশি খরচ নয়, বরং অল্প খরচেই ঘরের দেয়ালে নতুনত্বের ছোঁয়া দেওয়া যাবে।
· ঘরের দেয়ালকে স্মৃতিময় করে তুলতে পারেন। জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দি করে দেয়ালে সাজিয়ে রাখুন। বসার ঘরের কোনের দেয়ালে পছন্দের ছবি ফ্রেম করিয়ে টানিয়ে দিন। ফ্রেমগুলো বিভিন্ন মাপের হলে আরও আকর্ষণীয় লাগবে। আবার মনের মতো কোনো পেইটিংও লাগিয়ে নিতে পারেন। রঙিন কিংবা একরঙা পেইটিং, পছন্দমতো লাগিয়ে নিলেই ঘরের লুক বদলে যাবে।
· দেয়ালে বড় আয়না টানিয়ে দিলে শোভা অনেকটাই বেড়ে যাবে। আয়না খুব সহজেই ঘরের রূপ বদলে দেয়। কারুকাজ করা বিভিন্ন ডিজাইনের আয়না কিংবা বিভিন্ন আকৃতির আয়না দিয়ে ঘরের দেয়াল সাজাতে পারেন। একটি দেয়াল জুড়ে আয়না থাকলে ঘরও বড় দেখাবে।
· বর্তমান সময়ে ঘরের দেয়ালে ওয়াল পেপারের ব্যবহার বেড়েছে। সৌখনরা শোয়ার ঘরে, বসার ঘরে ওয়াল পেপার লাগিয়ে নিচ্ছেন। তবে ওয়াল পেপার লাগানোর আগে দেয়ালের আকৃতি এবং ঘরের সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। পুরো ঘরে ওয়াল পেপার লাগাতে পারেন। আবার ঘরের যেকোনো একটি দেয়ালে ওয়াল পেপার লাগালেও বেশ ফুটে উঠবে।
· দেয়ালের সাজসজ্জায় এখন ওয়াল স্টিকারও ব্যবহার হচ্ছে। পছন্দসই স্টিকার দেখে দেয়ালে লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, স্টিকার পরে তুলতে গিয়ে দেয়ালের রঙের ক্ষতি হতে পারে। তাই আগে যাচাই করে নিন।
· বসার ঘরে বা শোয়ার ঘরের দেয়ালের কোণে তাক করে নিতে পারেন। ছোট বড় তাক করলে সেখানে বিভিন্ন শো পিস, ল্যামশেড, মোমদানি কিংবা প্রিয় গাছ দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। তবে সবকিছুই করার আগে দেয়ালের রঙের কথা ভুলে গেলে চলবে না। দেয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য হবে এমন জিনিসই ব্যবহার করতে হবে। তবেই ঘরে বৈচিত্র্য আসবে।