মানুষ মাত্রই অক্সিজেন গ্রহণ করবে ও কার্বন ডাই-অক্সাইড রূপে মুক্ত পরিবেশে তা ছেড়ে দেবে। সেই কার্বন ডাই-অক্সাইড গাছ গ্রহণ করে আবার অক্সিজেন রূপে ফিরিয়ে দেয়। এভাবেই চলছে গাছ ও মানুষের জীবন চক্র। পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় রাখতে তাই গাছ জরুরি।
দেখা যায়, আমরা প্রতিনিয়ত গাছ কেটে বন উজাড় করে দিচ্ছি। কিন্তু বলা হয়ে থাকে বিশ্বে তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ বন ও বনজ সম্পদের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় বিশ্বের সব দেশকে বনভূমির পরিমাণ ৩০ শতাংশ করার লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের তথ্য মতে, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ মোট ভূমির ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ অপর্যাপ্ত। বিভিন্ন দেশে এর পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন আছে। এই ঘাটতি দূর করতে কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে কিছু কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে।
কার্বন নিঃসরণে ভারসাম্য রক্ষায় সম্প্রতি তামিলনাড়ুর শিশু আদাভির বাবা-মা তার ছয় হাজার ফলজ গাছ রোপণ করেছেন। আর তার জন্য আদাভি এশিয়া বুক অব রেকর্ডস থেকে ‘বিশ্বের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ শিশু’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আদাভি ভারতের তামিলনাড়ুর দিনেশ এসপি ও জানগা নন্ধিনীর সন্তান। তার ডাক নাম নোভা। নোভার জন্মের আগে থেকেই তামিলনাড়ুর কৃষকদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে গাছ রোপণ শুরু করেন দিনেশ। গাছগুলো আদাভির সঙ্গে বড় হবে এবং আদাভি থেকে নিঃসৃত কার্বন শোষণ করবে।
তাদের উদ্যোগ শুধু একটি শিশুর কার্বন নিঃসরণে ভারসাম্য তৈরি করার নয়, বরং একটি পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা দেয়।