একেক জায়গায় একেক নামে পরিচিত থানকুনি পাতা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শেকড় সহ এর পুরো অংশই খাওয়া যায়। হালকা তেতো স্বাদের এই পাতার রয়েছে আরও গুন। প্রতিদিন থানকুনির জুস বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে করে পাকস্থলী ও মস্তিষ্কের সুস্থতার পাশাপাশি ত্বকের জন্যও উপকারী।
ব্রণের দাগ দূর করে থানকুনি
থানকুনিপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি (প্রদাহরোধী) উপাদান। এসব উপাদান ব্রণের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। এমনকি ব্রণের দাগ দূর করতেও থানকুনির নির্যাস দারুণ উপকারী।
ত্বককে সতেজ করে
থানকুনিপাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর উচ্চমানের অ্যামাইনো অ্যাসিড ত্বকের ক্লান্ত ভাব দূর করে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের বলিরেখা দূর করে
থানকুনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং সক্রিয় উপাদান ম্যাডেকাসসাইড, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। এর ফলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ে। কোলাজেন ত্বকের বলিরেখা রোধ করতে এবং নমনীয়তা বাড়াতে কাজ করে।
হজম শক্তি বাড়াতে
বিশেষজ্ঞদের মতে, থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক। মানুষের শরীরে অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে ঠিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। হজম শক্তি ভালো হলে ত্বকও ভালো থাকে।
চুল পড়া কমাতে পারে
চুল পড়া কমাতে থানকুনির নির্যাস ব্যবহার করতে পারে। এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
সুফল পেতে থানকুনি পাতা খেতে পারেন। বিভিন্ন ভাবে থানকুনির নির্যাস গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রতিদিন থানকুনির জুস বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে ভেতর থেকে ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ করতে কাজ করবে। থানকুনির রস বরফ করে ত্বকে ঘষতে পারেন। তাছাড়া বাজারে থানকুনির নির্যাস সমৃদ্ধ নানা পন্য পাওয়া যায়। সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।