বৃষ্টির মৌসুম শুরু হচ্ছে। এরমধ্যেই ঝড়বৃষ্টি আর বজ্রপাতে আতঙ্কিত সবাই। হঠাত্ ঝড় বা বজ্রপাত হলে সাধারণ মানুষই ভয় পায়। সেই সঙ্গে বাড়ির পোষ্য প্রাণীগুলোও কিন্তু আতঙ্কিত হয়ে থাকে। ঝড়বৃষ্টির সময় পোষ্যদের দিকে আলাদা নজর দিতে হয়। মানুষ যেমন নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে। এই সময় পশুপাখিরাও নিরাপদে থাকতে চায়। তাই ঝড়বৃষ্টির ও বজ্যপাতের সময় তাদের দিকে আলাদা নজর দিতে হবে। ঝড়বৃষ্টি বজ্রপাতের সময় পোষ্যদের যত্ন কীভাবে নেবেন তা কিছু ধারণা জেনে নিন।
· বজ্রপাতের সময় প্রচণ্ড শব্দে পোষ্যরা ভয় পেয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। এই সময় তাদেরকে নিজের কাছেই রাখুন। বাড়ির ভিতরে রাখুন। নিরাপদ স্থানে জায়গা করে দিন। সেখানে চুপ করে বসে থাকবে তারা।
· বাগানে বা বারান্দায় পোষ্যদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন? সেখানে তাদের জন্য় ঘর বানানো রয়েছে নিশ্চয়ই। ঝড়বৃষ্টি, বজ্রপাত হলে তাদেরকে সেখান থেকে বের করে ঘরে নিয়ে আসুন। কারণ বারান্দা বা বাগানে শব্দ বেশি হয়। আবার ঝড়ো হাওয়ায় তাদের জন্য বানানো ঘরের ক্ষতিও হতে পারে। তাই নিজের ঘরের ভিতরেই আলাদা জায়গায় পৌষ্যকে রাখুন।
· ঝড়ের সময় পোষ্যদের বেঁধে রাখা যাবে না। বরং মুক্ত করে দিন। মেঘের গর্জনে তারা কোনো কিছুর নিচে গিয়ে লুকনোর চেষ্টা করবে। তাদেরকে নিজের মতো করেই নিরাপদে থাকতে দিন। অযথা বেধে রাখবেন না।
· বৃষ্টির সময়টাতে পোষ্যপ্রাণীকে বেশিসময় ঘরেই রাখুন। এতে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ পৌষ্য ভয় পেয়ে ছুটাছুটি করলে আঘাত পেতে পারে। তাই তাকে নিরাপদে সরিয়ে নিন।
· বজ্রপাতের শব্দে পোষ্য প্রাণৗ অস্থির হয়ে যায়। অনেক সময় তারা ভয়ে কাঁপতেও থাকে। তাই বজ্রপাত হলেই পোষ্যকে জড়িয়ে রাখুন এবং তাদের কান চেপে ধরুন। যেন বজ্রপাতের শব্দ না পায়।
· বজ্রপাতের সময় পোষ্যকে নিয়ে খেলা করতে পারেন। আবার হালকা মিউজিক ছেড়ে দিতে পারেন। যেন বজ্রপাতের শব্দে পোষ্য আতকে না উঠে।
· প্রচণ্ড অস্থির গেলে পোষ্য প্রাণীর গায়ে হাত বুলিয়ে দিন। তার পছন্দের খাবার কিংবা পছন্দের কোনো জিনিস দিয়ে তাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করুন। তাদের শান্ত করুন।
· প্রচণ্ড ভয়ে যদি পোষ্য অতিরিক্ত অস্থির আচরণ করে তবে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে আগেই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পোষ্যের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করে নিতে পারেন।