দামি পোশাক তো আর প্রতিদিন ব্যবহার হয় না। কোনো অনুষ্ঠান কিংবা পার্টিতে গেলেই দামি পোশাক পরা হয়। বাকিটা সময় আলমারিতেই ভাঁজ হয়ে পড়ে থাকে। তবুও একাধিক দামি পোশাক পরার সুযোগও হয় না। কারণ এক অনুষ্ঠানে একটি পোশাক পরলে তা অন্য অনুষ্ঠানে আবারও পরা হয় না বললেই চলে।
তাই দামি পোশাক হয়তো ঘুরে ঘুরে বছরে দুই একবারই পরা হয়। দীর্ঘসময় এগুলো আলমারিতেই থাকে। যে কারণে এসব দামি পোশাকের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। নয়তো দীর্ঘদিন ভাঁজে পরে থেকে সেসব নষ্টও হয়ে যেতে পারে। সময়, সুযোগ বুঝে দামি পোশাকের যত্ন করুন।
সাধারণত বর্ষাকালের স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় পোশাক সবচেয়ে বেশি নষ্ট হয়। কিছু পোশাকের গায়ে ফাঙ্গাসও ধরে যায়। শীতকালে হয়তো পার্টির নিমন্ত্রণ পাবেন। তাই আগেই এগুলো ঠিকঠাক রয়েছে কিনা দেখে নিন।
শীত এলেই নানা অনুষ্ঠান বা পার্টি শুরু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে দামি পোশাকের আলমারির অন্ধকূপ থেকে বেরুনোর সুযোগ হবে। সিল্ক, তসর, লিনেন বা সুতির মতো প্রাকৃতিক ফাইবারগুলো যত্নে রাখলে ফ্যাব্রিকের খুব একটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু অনিশ্চিত দিনের জন্য পড়ে থাকলে এর জন্য বাড়তি যত্নের ব্যবস্থা করতেই হবে।
খেয়াল করে দেখবেন, দামি পোশাকগুলো যদি সিন্থেটিক ফ্যাব্রিকের হয় তবে তাতে ব্যাক্টেরিয়া বা ফাঙ্গাস জন্মায় না। কিন্তু সিল্ক, সুতি বা তসর ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি পোশাক দীর্ঘদিন আলমারিতে পড়ে থাকলে জীবাণু জন্মাবেই। মনে রাখবেন, সিল্ক ফ্যাব্রিকের গায়ে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি সিলভার ফিশ লাগে। কারণ সিল্কের তন্তুর মধ্যে প্রাণিজ প্রোটিন থাকে। যা ওই পোকার প্রিয় খাদ্য। তাই এসব ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি পোশাকের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন।
দামি পোশাকের যত্নে অবশ্যই রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। এতে রোদে থাকা আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি পোশাক জীবাণুমুক্ত রাখতে পারে। এছাড়াও দামি পোশাক দীর্ঘদিন একই ভাঁজে রাখা উচিত নয়। যে কোনও দামি পোশাকের ক্ষেত্রেই মাঝে মাঝে ভাঁজ বদলে দেওয়া দরকার। কারণ ভাঁজের মাঝে মাঝে ধুলো বাসা বাঁধে। ফ্যাব্রিকে চিড় খেয়ে যায়।
তাই সুযোগ পেলেই দামি পোশাক আলমারি থেকে বের করে নিন। পোশাকের ভাঁজ খুলে নরম ব্রাশ দিয়ে ভালো করে ঝেড়ে নিন। এরপর পোশাক উল্টে রোদে দিন। রোদ থেকে তুলে ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা হতে দিন। এরপর অন্যভাবে ভাঁজ করে আলমারিতে তুলে রাখুন।
এছাড়াও আলমারিতে দীর্ঘদিন পোশাক ভালো রাখার জন্য জীবাণুনাশক ওষুধপত্র রাখতে পারেন। আবার কিছু নিমপাতা দিয়ে রাখলেও পোকার উপদ্রব থেকে রেহাই মিলবে। তাই আলমারির বিভিন্ন স্থানে নিমপাতা ছড়িয়ে রাখতে পারেন। এতে উপকার হতেও পারে।