রোদের তীব্রতা মাথায় নিয়ে প্রতিদিন বের হতে হচ্ছে। দিনের অর্ধেকটা সময় বাইরেই কাটাতে হয়। কাঠফাটা রোদে বের হলেই ত্বক পুড়ে যাচ্ছে। ত্বককে রোদ থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়। যদিও গরমকাল কিংবা শীতকাল সারাবছরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বক যেকোনো তাপ থেকে মুক্ত থাকে। তাই ত্বকে পোড়াভাব হয় না। কিন্তু অনেকের সানস্ক্রিন ব্যবহারে অস্বস্তি লাগে। কারণ গরমে সানস্ক্রিন মাখলে মুখে অতিরিক্ত ঘাম হয়। তাই সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলেন। আর রোদের তাপে ত্বকের ক্ষতি হয়।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানান, রোদে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সানস্ক্রিন মাখলে যদি ত্বকে ঘাম হয় সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হবে। যেমন
- ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন বেছে নিতে হবে। সানস্ক্রিন কেনার আগে এসপিএফের মাত্রা দেখে নিন। তৈলাক্ত ও স্পর্শকাতর ত্বকে ৩০ এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন মাখতে হবে। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য এসপিএফ ৪০ হলেই চলবে। বাইরে রোদ বেশি হলে ৫০ এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এতে রোদে ত্বক পুড়ে যাবে না।
- স্বাভাবিক ত্বকের জন্য যেকোনো ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তৈলাক্ত ও স্পর্শকাতর ত্বকে জেল, স্প্রে, স্টিক ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- ঘাম কমাতে টিন্টেড সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। নন-কমেডোজেনিক সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন। এটি মুখের ঘাম ও ব্রণের সমস্যা কমাবে।
- সানস্ক্রিন মাখার আগে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এছাড়াও সানস্ক্রিনে সামান্য পানি মিশিয়ে মাখুন। এতে সানস্ক্রিনের ঘনত্ব পাতলা হবে। এতে সানস্ক্রিন রোমকূপের ভেতর ভালো করে প্রবেশ করে ত্বককে শীতল রাখে। তাই ঘাম কম হয়।
- প্রতিদিন রোদে বের হওয়ার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মেখে নিন। সানস্ক্রিন মেখেই বের হবেন না। দীর্ঘ সময় রোদে থাকতে হলে ৩ ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন মেখে নিন। এতে ত্বক ক্ষতিকর ইউভি রশ্মির থেকে সুরক্ষা পাবে।