প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা সালাত আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজ আদায়ের জন্য অযু করা প্রথম শর্ত। অযুর মাধ্যমে পাক পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করতে হয়। ইসলামে অজু পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম। নামাজ, তাওয়াফ, কোরআন স্পর্শ করার জন্য অজু করা বাধ্যতামূলক। অজু অবস্থায় থাকা সওয়াবের কাজ।
কোরআনে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরও ভালবাসেন। (সুরা বাকারা: ২২২) অর্থাৎ অজু আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম।“
অজু করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে দেন, বান্দার মর্যাদাও আল্লাহর কাছে বেড়ে যায়। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
যখন কোন মুসলমান বান্দা অজু করে এবং তার চেহারা ধুয়ে নেয়, তখন তার চেহারা থেকে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে তার চোখ দিয়ে কৃত সব গুনাহ বের হয়ে যায় যা সে চোখ দিয়ে দেখেছে। যখন সে তার দুই হাত ধৌত করে, তখন তার দুই হাত দিয়ে করা গুনাহ পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যায় যা তার দুই হাত দিয়ে ধরার কারণে সংঘটিত হয়েছে। সে যখন তার দুই পা ধৌত করে, তার পা দিয়ে কৃত গুনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যায় যে পাপের জন্যে তার দুই পা হেঁটেছে। এভাবে সে সব গুনাহ থেকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। (সহিহ মুসলিম: ২৪৪)
তীব্র শীতের মধ্যেও নামাজ আদায় করতে হয়। ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের সময় অযু করা কিংবা এর বাইরেও অযু করে থাকার গুরুত্ব সম্পর্কে জানেন মুসলিমরা। তবে জানেন কি, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতের সময় অযু করার সওয়াব আরও দ্বিগুণ হয়। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদিন সমবেত সাহাবিদের উদ্দেশে বললেন, “আমি কি তোমাদের এমন আমলের কথা বলবো যে আমল করলে আল্লাহ গোনাহসমূহ মাফ করে দেবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন? তারা বললেন, ’অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসুল!’
আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কষ্টকর অবস্থায় পরিপূর্ণরূপে অজু করা, দূরত্ব অতিক্রম করে মসজিদে যাওয়া, এক ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজের জন্য অপেক্ষা করা। (সহিহ মুসলিম: ৪৯৪)