ধুলাবালু, রোদ-বৃষ্টি চুলকে করে তুলে নিষ্প্রাণ। আবার অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে চুল পুষ্টিহীনতায় ভোগে। এসব সমস্যা দূর করতে প্রতিনিয়ত আমরা নানান রকম প্রসাধনী ব্যবহার করি। কিন্তু এতে চুল দীর্ঘস্থায়ীভালো থাকে না। চুলকে ভালো রাখতে প্রয়োজন ভেতর থেকে পুষ্টি। আর সেই পুষ্টি পেতে পারেন সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে। কারণ, সূর্যমুখী ফুলের বীজে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে।
এ ছাড়া রয়েছে স্যাচুরেটেড, পলিআনস্যাচুরেটেড ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার। এসব উপাদান চুলকে মজবুত করে, চুলে পুষ্টি জোগিয়ে প্রাণ ফিরিয়ে আনে। তবে এই সূর্যমুখী ফুলের বীজ কীভাবে ব্যবহার করবেন সেগুলো জেনে নেই-
খাবারের সঙ্গে
সকালের নাশতায় দুধ-কর্নফ্লেক্স বা দুধ-ওট্সের সঙ্গে সূর্যমুখী ফুলের বীজ খাওয়া যায়।
টোস্ট বা স্যান্ডউইচের জন্য স্প্রেড হিসাবে ঘরে মাখন তৈরি করতে সূর্যমুখী বীজ ব্যবহার করুন।
চুলের মাস্ক হিসেবে
সূর্যমুখী ফুলের বীজ, টক দই এবং মধু ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিয়ে মাথার ত্বকে মেখে দিতে পারেন। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিলেই হবে।
তেলের সঙ্গে
নারকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ফুটিয়ে নিন। তারপর এই তেল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। এতে চুলে গোড়া মজবুত হবে।